প্রকাশঃ ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০১:১৩:৪৯
| আপডেটঃ ০৪ মে, ২০২৪ ০৩:১৪:৫২
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওয়াতায় খাদ্য অধিদপ্তর সারা দেশে ১ সেপ্টেম্বর ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরুর ঘোষনা দিয়েছে। কিন্ত রাঙামাটি জুরাছড়ি উপজেলায় সদর ইউনিয়নে কার্যক্রম চালু করা হলেও তিন ইউনিয়নে এখনো চালু হয়নি। সুবিধাভোগীদের অভিযোগ সাপ্তাহিক বন্ধ ও ডিলারদের গাফিলিতির কারণে বনযোগীছড়া, মৈদং ও দুমদুম্যা ইউনিয়নে শুরু হয়নি ১০ টাকা দরে কেজি চাল বিক্রি। বুধবার ডিলারেরা ব্যাংকে টাকা জমা দিলেও ডিলারের গাফিলিটিই সুবিধাভোগীরা চাল কিনা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে সুবিধাভোগীরা।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অনাদি রঞ্জন চাকমা জানান, ইতিমধ্যে ১নং জুরাছড়ি ইউনিয়নের নিয়োগপ্রাপ্ত ডিলার সঞ্চল বিহারী চাকমা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েছে। তার বিপরীতে ২১১ জন তালিকাভুক্ত সুবিধাভোগীদের ৩০ কেটি করে চাল ৬ দশমিক ৩৩০ মেঃটন চাল বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অনাদি রঞ্জন চাকমা জানান, ১০ টাকা কেজি দরে চাল ক্রয়ের সুবিধা পেতে উপজেলার চার ইউনিয়নের কার্ডধারী পরিবার আছে ৬৫৭। জুরাছড়ি ইউনিয়নে ডিলার চঞ্চল বিহারী চাকমা, বনযোগীছড়া ইউনিয়নে রাজেশ চাকমা, মৈদং ইউনিয়নে সাধন মনি চাকমা এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নে রনজিত কার্ব্বারী নিযুক্ত রয়েছে।
উপজেলা খাদ্য পরিদর্শক অনাদি রঞ্জন চাকমা বনযোগীছড়ার রাজেশ চাকমা, মৈদং ইউনিয়নের সাধন মুনি চাকমা এবং দুমদুম্যা ইউনিয়নের রনজিত কার্ব্বারী ইতিমধ্যে ব্যাংকে টাকা জমা করেছে নিশ্চিত হয়েছি। দ্রুত চাল নিয়ে বিক্রির কার্যক্রম শুরু করা পরামশ্যও দিয়েছি।
খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওয়াতায় ৫ জনের প্রতিটি পরিবার প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন। প্রতি রবি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত ডিলাররা কার্ডধারীদের কাছে চাল বিক্রি করার কথা রয়েছে। আগামী নভেম্বর পর্যন্ত চলবে এই কর্মসূচী।
এ বিষয়ে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা জানান, দ্রুত ব্যাংকে টাকা জমার মাধ্যমে কার্য্যক্রম চালু করার জন্য ডিলারকের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ক্যানন চাকমা জানান, জুরাছড়ি ইউনিয়নে ২১১ জন সুবিধা ভোগেকে সঠিক ও সচ্চ ভাবে বিতরণ করা হচ্ছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ রাশেদ ইকবাল চৌধুরী জানান, বুধবার জুরাছড়ি ইউনিয়নে এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে খবর পেয়েছি। বাকী ইউনিয়নে দ্রুত চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।