ছবি মারমাকে নতুন ঘর দিলেন ইউএনও রুহুল আমীন

প্রকাশঃ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮ ০১:১৭:০৫ | আপডেটঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫৪:৪৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, কাপ্তাই (রাঙামাটি)। কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিযনের ডলুছড়ি-নোয়াপাড়া ওয়ার্ডের নোয়াপাড়ার একটি নির্জন স্থান। জনমানব শূণ্য একটি মাত্র মাটির ঘর। বৃষ্টি হলে পানি ঢ়ুকে ঘরে, আবার রোদে পুড়ে ঘরের লোকজন। ঘরের সদস্য মাত্র ২ জন। ছবি মার্মা আর তার স্বামী খিলুঅং মার্মা। সন্তানহীন এই দম্পতির নিজের কোন জায়গা নেই। পরের জায়গায় চিলে কৌঠার একটি ঘরে বসবাস তাদের। স্বামী দিনমজুর, পরের ক্ষেতে খামারে কাজ করে সংসার চলে,আবার সবসময় কাজ থাকে না। এই যেন নুন আনতে পানতা পুড়ায় অবস্থা।

স্থানীয় কিছু সংবাদকর্মী থেকে জানতে পেরে ছবি মার্মার ঘর সংস্কার করার উদ্যোগ নিলেন কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীন।

শনিবার সকালে তিনি ১ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে ছবি মারমার জন্য নিয়ে গেলেন নতুন এক বান্ডিল টিন এবং সাথে নিয়ে গেলেন ২ জন কাজের মিস্ত্রি। কর্নফুলি নদী হতে দূর্গম এই পথ পাড়ি দিয়ে ছবি মার্মার হাতে তুলে দিলেন টিন এবং নগদ ৩ হাজার টাকা প্রদান করলেন মেরামত কর্মীদের। ছবি মার্মা জানালো তার মশারী নেই। ইউএনও আশ্বাস দিলেন মশারী প্রদান করবেন আজকে।
এসময় ছবি মার্মা অশ্রুসিক্ত নয়নে জানান, প্রায় ৩০ বছর আগে ভালোবেসে বিয়ে করেন রাইখালীর নোয়াপাড়ার খিলুঅং মার্মাকে। অভাবের সংসার নিজস্ব জমিজায়গা নেই, স্বামী পরের ক্ষেত খামারে কাজ করে। সরকারের কোন বড় অফিসার এই ঘরে আসবে তারা কল্পনাও করে নি। তিনি কৃতজ্ঞতা জানান কাপ্তাই ইউএনও রুহুল আমীনকে।

কথা হলো কাপ্তাই নির্বাহী কর্মকর্তা রুহুল আমীনের সাথে, তিনি জানালেন কিছু সংবাদকর্মী থেকে জানতে পেরে অসহায় এই পরিবারের কথা। সাথে সাথে আমি পিআইও অফিসের দুইজন স্টাফকে বিষয়টির সত্যতা জানার জন্য পাঠায়। তারা সরজমিন গিয়ে বিষয়টির সত্যতা পায়। তিনি জানান, অসহায় মানুষের জন্য কিছু করতে পারাটা আনন্দের।

উল্ল্যেখ যে, কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইতিমধ্যে অনেক অসহায় পরিবারের ঘর মেরামত করে প্রশংসিত হয়েছে।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions