লংগদুতে মাঠ রক্ষায় এপিবিএন ক্যাম্প চায় না এলাকাবাসী

প্রকাশঃ ০৪ অক্টোবর, ২০২২ ০৪:১৪:১৫ | আপডেটঃ ২৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১১:৪২

সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু, (রাঙামাটি)রাঙামাটির লংগদু উপজেলার ৪নং বগাচতর ইউনিয়নের ৯নং মারিশ্যাচর মৌজার অন্তর্গত চিবেরেগা এলাকার বৌদ্ধ বিহার সংলগ্ন এবং পাহাড়ি-বাঙালির একমাত্র খেলার মাঠের জায়গায় প্রস্তাবিত এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপন না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নিকট আবেদন জানিয়েছেন এলাকার সাধারণ জনগণ

 

সোমবার ( অক্টোবর) সকাল ১১ টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর বরাবর স্মারকলিপি প্রেরণ করেন এলাকাবাসী। 

 

আবেদন পত্রে স্বাক্ষরিত ৯নং মারিশ্যাচর মৌজার হেডম্যান সুনির্মল চাকমা, কার্বারি বিনয় প্রসাদ চাকমা, কার্বারি তপন বিকাশ চাকমা কার্বারি নতুনা চাকমা স্বহস্তে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট পেশ করেন

 

এলাকাবাসীর সার্বিক জীবনধারা সুরক্ষা উন্নয়নের স্বার্থে, পাহাড়ি-বাঙালির সুন্দর সামাজিক পরিবেশের স্বার্থে এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাবনাটি বাতিল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ কামনা করা হয়েছে

 

উল্লেখ করা হয়, “বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে ১৯৮০-৮১ সালে অত্র এলাকা থেকে উদ্বাস্তু হয়ে বিভিন্ন জায়গায় অতি কষ্টের সাথে জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছি। ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে নতুন করে অত্র এলাকায় বসতি স্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। ২০০০ সাল থেকে শুরু করে বর্তমানে অত্র এলাকার কিছু দূরে শতাধিক পরিবার স্থায়ীভাবে বসবাস করছি। এলাকাবাসীর প্রয়োজনের তাগিদে পর্যায়ক্রমে নিজস্ব অর্থায়নে বৌদ্ধ বিহার নির্মাণ, প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন, খেলার মাঠ সৃষ্টি এবং একটি নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ও স্থাপন করিয়াছি, যা ইতিমধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে মাননীয় চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি পাকা দালান নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন।

 

আরো উল্লেখ করা হয়, গত ১২ সেপ্টেম্বর এপিবিএন এর উচ্চ পর্যায়ের একটি প্রতিনিধিদল নির্মিত বৌদ্ধ বিহার খেলার মাঠটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং ১৯ সেপ্টেম্বর উক্ত দলের নেতৃত্বে আমাদের নির্মিত বৌদ্ধ বিহার খেলার মাঠের সম্পূর্ণ জায়গা প্রদান পরিমাপ করেন। এরপর প্রতিনিধিদল কর্তৃক বৌদ্ধ বিহারের জায়গার কিছু অংশসহ মাঠের উপর এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপনের জন্য সুপারিশ সহকারে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে বলে বিশ্বস্তসূত্রে জানা গেছে

 

এপিবিএন ক্যাম্পটি স্থাপন করলে এলাকাবাসীর দৈনন্দিন ধর্মীয় কর্মকান্ডে বিঘ্ন ঘটবে; এলাকার একমাত্র মাঠটি ধ্বংস হবে ফলে তরুণ প্রজন্ম সমস্যায় পড়বে

 

অন্যদিকে তিনজন পাহাড়ীর বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ধীরে ধীরে এলাকার মানুষজন উদ্বাস্তু হওয়ার সম্ভাবনা সৃষ্টি বলে আশঙ্কা করা হয়

 

সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত তিনটি বসতবাড়ি হল-. নিরোদ বরন কার্বারী, পিতা- ভরত কুমার কার্বারী। . বিজয় শান্তি চাকমা, পিতা- পুনং চান কার্বারী। . রঞ্জন কুমার চাকমা, পিতা- পুর্ন কুমার চাকমা

 

সর্বসাকুল্যে বিবেচনা সাপেক্ষে প্রস্তাবিত এপিবিএন ক্যাম্প স্থাপনের প্রস্তাবনা বাতিলে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা এলাকাবাসী

 

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions