শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

লংগদুতে ব্রীজের প্রোটেকশন ওয়াল ব্যবহার করে দোকান নির্মাণের অভিযোগ

প্রকাশঃ ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২১ ০১:১১:৩২ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৬:২১:১৭  |  ৮০৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, লংগদু (রাঙামাটি)। রাঙামাটির লংগদু উপজেলার মাইনীমূখ ইউনিয়নের ৩নং মাইনীমূখ ও ৮নং গাঁথাছড়া ওয়ার্ডের কাচালং নদীর শাখা মাইনী নদীর উপর ২০১৫-২০১৬ অর্থ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের অর্থায়নে প্রায় ২৫ কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সংযোগ সেতুর প্রোটেকশন ওয়াল ব্যবহার করে দোকান ঘর নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে ৬নং মাইনীমূখ ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুর প্রোটেকশন ওয়াল এর পাশেই রয়েছে দোকানপাট ও সিঁড়ি ঘাট। সেতুর এই গুরুত্বপূর্ণ অংশ ব্যবহার করে দোকানঘর নির্মাণ করায় অভিযোগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন মহল।

জানা যায়, উপজেলার মাইনী গাঁথাছড়া সেতুর মেইন প্রোটেকশন ওয়াল অবৈধ ভাবে ব্যবহার করে দোকান ঘর নির্মাণ করায় উপজেলা সদর, মাইনী বাজার ও গাথাছড়া এলাকার একমাত্র গুরুত্বপূর্ন সংযোগ সেতুটি রক্ষনাবেক্ষনে সচল রাখতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করে মৌখিক অভিযোগ করেছেন স্থানীয়রা। তারা জানান, এ সেতুটি প্রোটেকশন ওয়াল দখল করে অবৈধ ভাবে দোকান ঘর নির্মাণ করলে ধীরে ধীরে সেতুর ও রাস্তার সংযোগস্থলের মাটি সরে গিয়ে বিপদজনক অবস্থায় পড়তে পারে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গাথাছড়া গ্রামের এক বাসিন্দা জানান,  এভাবে যদি প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সরকারি জায়াগা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে তবে সারা উপজেলায় সরকারি জায়গা দখলের হিড়িক শুরু হবে। এ বিষয়টি কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি ও যথাযথ হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

অন্য একজন বলেন, চেয়ারম্যানের ভাই সাইফুল ইসলাম যে জায়গায় দোকান নির্মাণ করছেন সেটা সেতুর গুরুত্বপূর্ণ অংশ প্রোটেকশন ওয়াল এর সাথে সংযুক্ত করে করছেন। বিষয়টি নিয়ে অনেকে অগোচরে কথা বললেও চেয়ারম্যানের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে নারাজ। তবে সরাকারি কোনো কাজে বা স্থানে এমন স্থাপনা নির্মাণ করার নজির কোথাও আছে কি না সেটা আমার অজানা।

অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি চেয়ারম্যানের ভাই সাইফুল ইসলাম বলেন, সেতুর প্রোটেকশন ওয়াল দখল করে নয়, আমার জমির ওপর দোকান ঘর নির্মাণ করছি। বর্তমানে সেতুর প্রোটেকশন ওয়াল  আমার জায়গার সাথে পড়ে গেছে।

তিনি আরো বলেন, আমি এই সেতু নির্মাণ কাজ শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ৫/৬ বছর সেতুর দিনমজুর হিসেবে কাজ করেছি। উন্নয়ন বোর্ড থেকে যখন প্রোটেশন ওয়াল ও সিড়ি নির্মাণের জন্য কাজ শুরু করেছে তখনি আমি তাদেরকে অনুরোধ করে ওয়ালটি আমার জায়গার সীমানায় সোজা করে নির্মাণ করিয়েছি এবং তাদের কাছে তদবির করেছি যেন এখানে দোকান ঘর নির্মাণ করতে পারি। তিনি এটাও বলেন যে উপজেলা প্রশাসন বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা তার কাজে কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা বা হস্তক্ষেপ করেনি।

বিষয়টি নিয়ে মাইনীমূখ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল আলী বলেন, ব্রীজের প্রোটেকশন ওয়াল ব্যবহার করে দোকান নির্মাণ করার কোনো লিখিত অনুমতি পায়নি, তবে সে পূর্বে উন্নয়ন বোর্ডের লোকজনের সাথে কথা বলে রেখেছিলেন যে, পরবর্তীতে যেন প্রোটেকশন ওয়াল ব্যবহার করে দোকানঘর নির্মাণ করতে পারে। তিনি আরো বলেন, এবিষয়ে এলাকাবাসীর কোনো প্রকার অভিযোগ করেনি এবং প্রশাসনও কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। আমার কাছে সাইফুল ইসলামকে নিয়ে এবং প্রোটেকশন ওয়াল দখলের বিষয়টা নিয়ে যদি কোনো অভিযোগ আসে তাহলে তা দেখবো।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions