জুরাছড়িতে কার্ব্বারী হত্যার ঘটনায় উপজেলা পরিষদের নিন্দা
প্রকাশঃ ১৫ জুন, ২০২১ ০৩:০৮:০৩
| আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৫২:০৮
|
১২৫৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। বিচার বহিভূত যে কোন হত্যাকান্ড নিন্দনীয় ও মানবাধিকার লংঘন। যারা শান্তিপূর্ন পরিবেশকে অশান্ত করতে চাই-তাদের এলাকাবাসী কখনো ক্ষমা করবে না। মঙ্গলবার জুরাছড়ি উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে লুলাংছড়ি মৌজার কার্ব্বারী নিহত পাথর মুনি চাকমা পরিবারকে সমবেদনা জানাতে গিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা একথা বলেন।
রাতে একজন কাকা-কাকী করে ডেকে বলেন একটু পানি খাবান-আমরা খুবই তৃষ্ণাত্ব। দরজা খুলতেই মাস্ক পড়া দু’জন অস্ত্র তেকিয়ে দু’বাহুতে ধরে ঘর থেকে বের করে নেয়। ২/৩ মিনিটের মধ্যেই গুলির শব্দ পাওয়া যায়। উঠানে গিয়ে দেখী রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে লুটে পরে আছে আমার স্বামী। কাছে গিয়ে দেখী কিছু বলতে চাই-কিন্তু শব্দ বের হয়নি। শেষ কথাটা বলা হয়নি আর। ‘‘আমার স্বামী কি অপরাধ করেছে- যার জন্য প্রান দিতে হলো? এই প্রশ্ন এখন শুধু স্বামী হারা এক বিধাব স্ত্রীর নয়, তার সন্তান ও পাড়াবাসীর !
এমন কথা বলতে বলতে চোখের জল ঝিরঝির করে পড়ছিল স্বামী হারা সাধনা দেবী চাকমার। পাশে তার সন্তানদের কান্নাই চার পাশ ভারী হচ্ছিল।
এ সময় উপজেলা পরিষদের পক্ষ থেকে নগদ ১০ হাজার টাকা সাস্তাহিক অন্তষ্টাক্রীয়া সম্পাদনে সহায়তা প্রদান করা হয়। এছাড়া রাঙামাটি ময়না তদন্তে নেওয়ার সময় দশ হাজার প্রদান প্রদান করা হয়।
এদিকে নিহতের পরিবারকে সমবেদনা জানাতে সেনাবাহিনীর জোন উপ অধিনায়ক মেজর মোঃ রাকিবুল ইসলাম ছুটে যান। এছাড়া জুরাছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ক্যানন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমার মিসেস সমবেদনা জানাতে ছুটে যান। সেনা বাহিনী, উপজেলা পরিষদ, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়াম্যান ক্যানন চাকমা ও ভাইস চেয়ারম্যান রিটন চাকমা এমন সংক্ষিন্নতার মহূত্বে সহায়তা প্রদানের জন্য কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন সাধনা দেবী চাকমা।
তবে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক শর্তে একজন নির্ভর যোগ্যসূত্র জানায়, জনপ্রতিনিধিদের প্রশাসনের কাছে বেকায়দায় ফেলতে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে।
জুরাছড়ি থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ শফিউল আজম জানান, এখনো পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করেনি। তবে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
উল্লেখ্য, গেল রবিবার রাতে জুরাছড়ি ইউনিয়নের লুলাংছড়ি মৌজার কার্ব্বারী পাথর মুনি চাকমাকে নিজ বাড়ীতে একদল দুবৃর্ত্ত গুলি করে হত্যা করে।