বৃহস্পতিবার | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে নৌকার প্রার্থীর ১৯ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা

প্রকাশঃ ০৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০৬:৫৪:২৩ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:৪৫:০১  |  ৭৮৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। আসন্ন ১৪ ফেব্রুয়ারী রাঙামাটি পৌরসভার নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর দলীয় মনোনীত প্রার্থী (নৌকা প্রতীক) আকবর হোসেন চৌধুরী পৌর নাগরিকের সেবার অংশ হিসেবে শহরের বিভিন্ন এলাকার চলমান উন্নয়নের পাশাপাশি  নির্বাচনে জয় পরবর্তী তার আগামী মেয়াদের পরিকল্পনা হিসেবে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন।

শুক্রবার সকাল ১১টায় জেলা আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে শহরের ফিসারী বাধ রক্ষা ও সৌন্দর্য্য বর্ধন করণ, পরিবেশ বান্ধন ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ, ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তি, ইয়ুথ আইটি সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালু, নিম্ন আয়ের মানুষের ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্পের উপর গুরুত্ব আরোপ করে ১৯ দফা সম্বলিত নির্বাচনী ইশতেহার তুলে ধরেন এ বর্তমান পৌর মেয়র।

এসময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা, হাজী কামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ মুছা মাতব্বর, পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী সোলায়মান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মো: মনসুর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

ইশতেহারে আকবর হোসেন চৌধুরী গত মেয়াদে (২০১৬-২০২০) মেয়র হিসেবে রাঙামাটি পৌরসভার বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রমের উপর আলোকপাত করে তিনি বলেন, আমি ৫ বছরের মধ্যে করোনা ভাইরাস ও পাহাড় ধ্বসের কারণে ২বছর কাজ করতে পারিনি। কিন্তু যেটুকু সময় পেয়েছি সেই সময়ে আমি রাঙামাটি পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডের অবকাঠামোসহ ব্যাপক উন্নয়ন কাজ করেছি। এবার নির্বাচিত হলে অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অঙ্গিকার করেন তিনি।

এক প্রশ্নের জবাবে আকবর হোসেন চৌধুরী আরো বলেন, এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার পরিবেশ ও আইন-শৃঙ্খলাসহ সকল ধরনের পরিবেশ সুষ্ঠ রয়েছে। আপাতত পৌর নির্বাচনে সেনা মোতায়নের প্রয়োজন মনে করছি না, তবে এটি নির্বাচন কমিশনের বিষয়। তিনি আরো জানান আমি নির্বাচিত হলে রাঙামাটি পৌরসভাকে একটি সেবা মূলক ও কল্যাণ জনমুখী স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুরোপুরি দাড় করাবো। সর্বশেষ তিনি অসমাপ্ত কাজ শেষ করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।

আকবর হোসেন চৌধুরীর ১৯ দফা আগামী পরিকল্পনা গুলো হলো:

এক হাজার আসন বিশিষ্ট রাঙামাটি পৌরসভার অডিটরিয়াম (টাউনহল) নির্মাণ, ফিসারী বাধ রক্ষা ও সৌন্দর্য্য বর্ধন করণ (যদি হস্তান্তর করা হয়), শহরের বাহিরে পরিবেশ বান্ধন ডাম্পিং গ্রাউন্ড নির্মাণ করা, পৌর এলাকায় ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা, পৌর এলাকায় ১০টি স্থানে ফ্রি ওয়াইফাই জোন স্থাপন, পৌর এলাকা গরীব ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উপবৃত্তির ব্যবস্থা চালুকরণ, নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য ফ্রি চিকিৎসা ক্যাম্প করা,  ইয়ুথ আইটি সেন্টার ও প্রশিক্ষণ কেন্দ্র চালুকরণ, স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নের জন্য এ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদান, বৃক্ষরোপনের মাধ্যমে শহরকে সবুজায়ন করা, প্রাকৃতিক দুযোর্গ মোকাবেলায় আশ্রয় কেন্দ্র স্থাপন, শহরকে সোলার প্যানেলের আওতায় এনে সিসিটিভির মাধ্যমে সেবা দেওয়া, নাগরিক সেবা বৃদ্ধির জন্য ওয়ান স্টেপ অনলাইন কল সেন্টার স্থাপন করা, রাঙামাটি শহরকে মাধ্যক মুক্ত রাখা, শহরের বিভিন্ন স্তানে প্রয়োজননুসারে কিচেন মার্কেট নির্মাণ, শহরে এলাকা ভিত্তিক নিরাপত্তা গেইট নির্মাণ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নামে বিভিন্ন সড়কে নামকরণ, শহরে বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল জায়ান্টস্কিন স্থাপন, বিগত সময়ে অসমাপ্ত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করাসহ নানা পরিকল্পনা তুলে ধরে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেন।  



রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions