শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটিতে ২৬৮টি ঘর পাচ্ছেন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার

প্রকাশঃ ২১ জানুয়ারী, ২০২১ ০৬:৪৯:৪৩ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:৩৩:১৮  |  ৮৬৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পাহাড়ি জেলা রাঙামাটিতে  ‘ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে জমি ও গৃহ প্রদান কার্যক্রমের আওতায়’ ২৬৮টি গৃহ উপকারভোগীদের কাছে হস্তান্তর করা হচ্ছে। আগামী শনিবার ২৩জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের অন্যান্য জেলার সঙ্গে একযোগে হস্তান্তর করা হবে আশ্রয়ণ প্রকল্পের এসব ঘরের চাবি। মুজিববর্ষে ‘বাংলাদেশের একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণায় প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে।

‘জমিও নাই ঘরও নাই’ ‘ক’ শ্রেণির এ প্রকল্পের অধীনে প্রথম পর্যায়ে জেলার ৭টি উপজেলার ২৬৮ জন উপকারভোগী এই গৃহ পাচ্ছেন। নির্মাণাধীন রয়েছে ৭৩৬টি ঘর। এছাড়া ‘জমি আছে ঘর নাই’ ‘খ’ শ্রেণির প্রকল্পের কাজও শুরু হবে খুব শিগগির। জেলায় এই দুই শ্রেণির ২ হাজার ৫১২জন গৃহহীন ব্যক্তির তালিকা করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অবশিষ্টরাও এ সুবিধার আওতায় আসবেন। একইসাথে প্রকল্পটি চলমান থাকবে|

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানিয়েছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশিদ। এসময় উপস্থিত ছিলেন এডিসি মোঃ মামুন এবং এডিএম শিল্পী রানী রায়।

দুর্গম পাহাড়ি গ্রামে বসবাস করেন হাজারো মানুষ। এসব মানুষের অনেকেরই জায়গা থাকলেও জোটে না ঘর। আবার কোনোভাবে ঘর নির্মাণ করলেও ঝড়-বৃষ্টি কিংবা অন্য কোনও দুর্যোগে ঘর হারিয়ে এসব মানুষকে আশ্রয় নিতে হয় অন্য কারও বাড়িতে। এভাবে চলে তাদের জীবনের চাকা।
আর এসব ভূমিহীন ও ঘরহীন মানুষের মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে আশ্রয়ণ প্রকল্প।

রাঙামাটির ১০ উপজেলার মধ্যে রাঙামাটি সদরে ৬০টি, কাপ্তাই উপজেলায় ৩০টি, রাজস্থলী উপজেলায় ৬২টি, বরকল উপজেলায় ১৯টি, বাঘাইছড়ি উপজেলায় ৩৫টি, লংগদু উপজেলায় ৩৪টি এবং নানিয়াচর উপজেলায় ২৮টি গৃহ মোট ২৬৮টিঘর ভুমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে শনিবার চাবি হস্তান্তর করা হবে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে দেয়া হবে।
 



রাঙামাটি সদরের সাপছড়ি ইউনিয়নের কলাবুনিয়া ভুমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য নিমির্ত ঘর


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions