বৃহস্পতিবার | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

জুরাছড়ির ডেবাছড়ি পূর্বরাম বৌদ্ধ বিহারে কঠিন চীবর উৎসব অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৬ নভেম্বর, ২০২০ ১০:৫৯:৫১ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:৫৩:৪৬  |  ৮৮৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। জুরাছড়ি ডেবাছড়ি পূর্বরাম বৌদ্ধ বিহারে দিন ব্যাপী বিভিন্ন আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে দিয়ে ১১তম কঠিন চীবর দান শেষ হয়েছে।

সমাপনী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জ্ঞানেন্দু বিকাশ চাকমা বলেন, বর্তমান সরকার সকল ধর্মের প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদান করে উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও যোগাযোগ আমূল পরির্বতন এসেছে। এছাড়াও এই সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় জুরাছড়ি-বরকল উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপন করে দিয়েছে। যা এখন প্রত্যেন্ত এলাকায় সংযোগ প্রদান করা হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, পার্বত্য এলাকায় বর্তমান পরিস্থিতিতে সমাজকে সুরক্ষিত রাখতে বৌদ্ধে নীতি অনুসরনের বিকল্প নেই। এলাকায় উন্নয়নের স্বার্থে সকল দলের সদস্যদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে সহযোগীতার মনোভাব নিয়ে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।

 উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা এলাকায় শান্তি ও উন্নয়নের আলো প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে দিতে সম্মিলিত সহযোগীতার আহ্বান জানান তিনি।

তিনি আরো বলেন, বৈশি^ক করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় ও নিজে এবং পরিবারকে সুরক্ষিত রাখতে সকলে বাহির হলেই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। যদি কেউ মাস্ক বিহীন ঘুরাফেরা করে তার বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে জরিমানা করা হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংরক্ষিত ওয়ার্ড সদস্য ননাবী চাকমা, ওয়ার্ড সদস্য সুমন চাকমা ও চিচি মুনি চাকমা, বনযোগীছড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক উজ্জল কান্তি চাকমা, উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি জ্ঞান মিত্র চাকমা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বেলা একটায় বনযোগীছড়া ইউপি চেয়ারম্যান সন্তোষ বিকাশ চাকমার কঠিন চীবর  (বৌদ্ধ সাধকদের পরার কাপড়) উপস্থিত শত শত নারী-পুরুষের সাধুবাদ ধ্বনির মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষুদের দান করে। পরে তা বৈশি^ক করোনা ভাইরাস থেকে মুক্তি, সকল প্রানীর সুখ ও মঙ্গল কমানায় উৎসর্গ করা হয়।

অনুষ্ঠানে কঠিন চীবর দানের পাশাপাশি ধর্মীয় রীতিতে পঞ্চশীল গ্রহন, অষ্টপরিষ্কার দানসহ নানা দানের কাজ সম্পন্ন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে পার্বত্য ভিক্ষু সংঘ পরিষদের কেন্দ্রিয় কমিটির সভাপতি শ্রদ্ধা লংকার মহাস্থবির, সাধারণ সম্পাদক শুভদর্শী মহাস্থবীর পূণ্যার্থী নারী-পুরুষের উদেশে ধর্মীয় দেশনা (উপদেশ বানী) দেন। পরে সন্ধ্যায় অর্ধশতাধিক ফানুস উড়ানো হয়।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions