সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। জামিন দেয়ার নামে ঘুষ নেয়ার অভিযোগে ঘুষের টাকাসহ রাঙামাটি চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মোঃ জামাল হোসেনকে আটক করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে ৫টার দিকে এক আসামীর স্বজন থেকে ঘুষ নেওয়ার সময় হাতে নাতে জামাল হোসেনকে আটক করে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহেদ আহম্মদ ও প্রবাল চক্রবর্তী। আটকের সময় আসামী পক্ষের স্বজন নিশাত নেওয়াজ(সুমি)’র কাছ থেকে ঘুষ বাবদ নেয়া ১হাজার পাঁচশত টাকাসহ হাতে নাতে আটক করা হয়। এসময় কোর্ট পুলিশ,আইনজীবী আবদুল গাফ্ফার মুন্নাসহ বেশ কয়েকজন ষ্টাফ উপস্থিত ছিলেন।
জামিন দেয়ার নামে আসামীর স্বজন নিশাত নেওয়াজ (সুমি) চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, জামাল হোসেনকে পূর্বে সাড়ে তিন হাজার টাকা দিয়েছিল তার বাবা, মা, ভাইসহ প্রায় ১০জনের জামিনের জন্য। কিন্তু অফিস সহায়ক জামাল হোসেন কোন কাজই করেনি। সর্বশেষ মঙ্গলবার ১হাজার পাঁচশ টাকা সুকৌশলে জামালকে গ্রহন করিয়ে হাতে নাতে ধরিয়ে দিলেন। সুমি জামালকে ঘুষ হিসেবে যে তিনটি পাঁচশ টাকার নোট দিয়েছিল তার ফটো কপি রেখেছে সে। জামালকে তল্লাশির পর ঠিক ওই তিনটি পাঁচশ টাকার নোট জামালের কাছে পাওয়া গেছে। অভিযোগে সুমি আরো বলেছেন,তার ভাই সোহেল থেকে ৩১হাজার ৫শ’ টাকা ঘুষ হিসেবে নিয়েছে। আমার মার জামিনের সময়ও জামাল ১৫ হাজার টাকা চেয়েছিল।
এ সংক্রান্ত ব্যাপারে মুঠোফোনে বাদী নিশাত নেওয়াজ (সুমি)র’সাথে কথা বলতে চাইলে সুমি কর্কশ ভাষায় বলেন,আমি জামালের ব্যাপারে যা বলার তা লিখিতভাবে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বরাবরে দিয়েছি। আপনাকে আর কিছুই বলতে পারবো না।
এদিকে স্বারক নং-সিজে এম(প্রশা)/২০২০ইং তারিখ ১৮আগষ্ট মূলে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অফিস সহায়ক মোঃ জামাল হোসেনের বিরুদ্ধে আনীত অফিযোগের প্রেক্ষিতে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা ও দায়রা জজ আদালত রাঙামাটি,উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন,রাঙামাটি (ফৌজদারি অপরাধের বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য)ও অফিসার ইনচার্জ, কোতয়ালি থানা রাঙামাটিকে আটককৃত ব্যক্তির আইনানুগ ব্যবস্থা ও হেফাজত নিশ্চিত করনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য অফিস আদেশ পাঠিয়েছেন।