শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটির ৪ জনের মধ্যে ২ জনের দ্বিতীয় দফায় রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’

প্রকাশঃ ১০ মে, ২০২০ ০৬:৩৪:৪৪ | আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০২:০৩:১৬  |  ১৪৭২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে গত ৬ মে যে চারজনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিলো তাদের মধ্যেই ২ জনের রিপোর্ট দ্বিতীয় দফায় ‘নেগেটিভ’ এসেছে।

রোববার (১০ মে) চট্টগ্রাম থেকে আসা রিপোর্টে তাদের দ্বিতীয়বারের করোনা পরীক্ষার ফলাফলে রাঙামাটি সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত সিনিয়র নার্স ও মোল্লা পাড়ার একজনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা।

পজিটিভ আসা বাকি ২ জনের রিপোর্ট এখনো আসেনি। ওই নার্সের সংস্পর্শে যাওয়া ৯ জন ডাক্তার ও নার্সের যে রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে তাও নেগেটিভ এসেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জন। তবে তাদের তৃতীয় দফায় আবারো নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনষ্টিটিউট অভ ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) পাঠানো হবে। আর তৃতীয় দফার রির্পোট না আসা পর্যন্ত আমরা তাদের করোনা মুক্ত বলতে পারবো না।

সিভিল সার্জন আরো জানান, হাসপাতালের ৯ চিকিৎসক ও নার্সের রিপোর্ট নেগেটিভ আসাটা আমাদের জন্য ভালো খবর। এটা নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন ছিলাম। তবে প্রথমবার পজিটিভ আসা নার্স ও মোল্লা পাড়ার একজনের রিপোর্ট এবার নেগেটিভ আসলেও আমরা তাদের তৃতীয় রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করব। রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত নতুন করে কিছু বলা যাচ্ছে না।

গত বুধবার (২৯ এপ্রিল) পাঠানো যে নার্সের দ্বিতীয় পরীক্ষার রিপোর্ট ১০ মে নেগেটিভ এসেছে, গত ৬ মে তার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিলো। তার সাথে রিজার্ভ বাজারের ৯ মাসের এক শিশু, দেবাশীষ নগরের ১৯ বছরের এক তরুণ এবং মোল্লাপাড়ার ৫০ বছর বয়সী এক শ্রমিকের ফলাফলও পজিটিভ এসেছিলো। তাদেরও দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফা নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানোর ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।

এদিকে রবিবার পর্যন্ত রাঙামাটি জেলায় ২১২১ জনের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য বিভাগ। রাঙামাটিতে হোম কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ১৪৫৭ জন এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টইনে রয়েছে ৬৬৪। রোববার সকালে পূর্বে কোয়ারেন্টাইন থাকা সর্বমোট ১৭৫০ জন কোয়ারেন্টাইন ছাড়পত্র পেয়েছেন। বর্তমানে কোয়ারেন্টাইনে রয়েছে ৩৭১জন। আইসোলেশনে কোন রোগী এখনো পর্যন্ত নেই।

এদিকে রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডাঃ বিপাশ খীসা জানান, চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিট অব ট্রপিক্যাল এন্ড ইনফেকশাস ডিজেজেজে (বিআইটিআইডি) ৪৬১ জনের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। তার মধ্যে ২৭৭ জনের নমুনা নেগেটিভ পাওয়া গেছে। বাকি ১৮৪ জনের নমুনার রিপোর্ট এখনো আসেনি বলে জানান তিনি।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions