বুধবার | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪
শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান হবে না : সন্তু লারমা

২৩ ডিসেম্বরের বৈঠকের পর ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির আবেদন যাচাই বাছাই করা হবে

প্রকাশঃ ২৭ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:০১:৫৭ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ০১:১২:৪০  |  ৪৭১৯
ষ্টাফ রিপোর্টার, রাঙামাটি। আগামী ২৩ ডিসেম্বরে বৈঠকের পর পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনে জমা পড়া ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি আবেদনগুলো যাচাই বাচাই শুরু করে নিষ্পত্তির কাজ শুরু করা হবে। রাঙামাটির বিরোধ গুলো নিষ্পত্তির কাজ করতে রাঙামাটি জেলা পরিষদ ভবনে নতুন অফিস নেওয়া হয়েছে জানিয়েছেন, পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি (অব) আনোয়ার উল হক।

বুধবার সকাল ১১ টায় শুরু হওয়া এ বৈঠক শেষে দুপুর ১ টায় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন কমিশনের চেয়ারম্যান। তিনি বলেন এ বৈঠকে রাঙামাটি জেলা পরিষদ ভবনে কমিশনের রাঙামাটি শাখা অফিস খোলার সিদ্ধান্ত হয়। আগামী বৈঠক রাঙামাটি জেলা পরিষদের কমিশনের নতুন অফিসে অনুষ্ঠিত হবে।

বৈঠকে কমিশনের সদস্য পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় (সন্তু) লারমা, চাকমা সার্কেল চীফ রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, রাঙামাটি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা, কমিশনের সচিব মো. আলী মনসুর  উপস্থিত ছিলেন। তবে বৈঠকে কমিশনের অন্য সদস্য খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, বান্দরবান জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান, মং রাজা, বোমাং রাজা, চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার বা তাদের কোন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না।

বৈঠক শেষে সন্তু লারমা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে ভুমি নিয়ে সবকিছুতে জড়িয়ে আছে। কিন্তু ২২ বছর অতিক্রান্ত হলেও পার্বত্য চুক্তি মোতাবেক জেলা পরিষদের হাতে এখনো ভুমি ব্যবস্থাপনার বিষয়টি হস্তান্তর করা হয়নি। এটি হস্তান্তর না হওয়ার ফলে সবকিছু থমকে আছে।

সন্তু লারমা আরো বলেন, পার্বত্য শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন না  হলে পার্বত্য চট্টগ্রামের সমস্যার সমাধান হবে না, আজকে ২২বছর অতিবাহিত হয়ে গেলেও শান্তি চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি, তাই সরকারসহ আর্ন্তজাতিক সংস্থাগুলোর বিষয়টি ভাবা উচিত। শান্তি চুক্তি এমনি করা হয়নি, পাহাড়ের মানুষের অধিকার, শান্তি শৃঙ্খলা ও উন্নয়ন সবকিছু মিলিয়ে এই চুক্তি, কিনÍু সরকার চুক্তি বাস্তবায়ন না করে কালক্ষেপন করছে।

চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেন, পার্বত্য ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের মাধ্যমে পাহাড়ে নিরপেক্ষভাবে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি সম্ভব হবে। পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ কমিশনের বিধিমালা প্রনয়নের জন্য মন্ত্রনালয়ে যে সুপারিশ মালা প্রেরণ করেছে সেটি দ্রুত প্রননয়ন করা হলে কমিশনের কাজ এগিয়ে যাবে। এতে করে পাহাড়ে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ সুন্দরভাবে হবে বলেন  দেবাশীষ রায়।

কমিশন সূত্র জানায় এ পর্যন্ত ২২ হাজার অধিক ভুমি বিরোধের আবেদন কমিশনে জমা পড়েছে। উল্লেখ্য পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষে ১৯৯৭ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন করা হয়। আইনটি ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়। আইন সংশোধনের পর অব: বিচারপতি আনোয়ার উল হককে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার মেয়াদ শেষ হলে তাকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এর আগে একাধিক চেয়ারম্যান নিয়োগ দেওয়া হলেও সদস্যদের অসন্তোষের কারণে ভুমি বিরোধ নিষ্পত্তির কাজ এগুতে পারেনি।

আইনটি সংশোধনের পর উভয় পক্ষ সম্মতি হলে শুরু হয় কমিশনের কার্যক্রম। শুরুতে বিরোধপূর্ণ ভুমিগুলোর মালিকদের কাছ থেকে আবেদনপত্র গ্রহণ করা হয়।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions