শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
পাহাড়ে

রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা কামনা চাকমা রাজার

প্রকাশঃ ০৭ নভেম্বর, ২০১৯ ১২:২৮:৪০ | আপডেটঃ ২৫ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৪৫:২৩  |  ২৩০৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব বন্ধে প্রধানমন্ত্রীর সুনজর ও প্রশাসনের নিরপেক্ষতা বজায় থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান সম্ভব।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে রাঙামাটি রাজবন বিহারে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান কঠিন চীবর দানোৎসবের বেইন ঘর উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার প্রধান শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর ঐত্যিহাসিক শান্তি পার্বত্য শান্তি চুক্তি সম্পাদনের মাধ্যমে পার্বত্য জনসংহতি সমিতি (জেএসএস)'র সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমার মধ্যে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। যার প্রেক্ষিতে জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা শান্তি-শৃঙ্খলার বজায় রেখে পাহাড়ের শান্তির জন্য চুক্তিকে প্রাধান্য দিয়ে পাহাড়ের মানুষের জন্য নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন।

তিনি আরো বলেন, পাহাড়ে তিন চারটি আঞ্চলিক সংগঠন রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ করা হয় এসব সংগঠনের জন্য পাহাড়ে রক্তপাত হচ্ছে কিংবা শান্তি শৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। আমরা বিশ্বাস করি, সংগঠন তিনটি চারটি কেন, দশ-বারোটি সংগঠন হলেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটু সুদৃষ্টি দিলেই এসব রক্তপাত, মারামারি, হানাহানি বন্ধ হবে বলে আমরা মনে করি।

তাই আমি আহ্বান জানায়, এ ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারের উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক, প্রশাসনিক সকল কর্মকর্তা সুদৃষ্টি রাখবেন। একই সাথে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিরপেক্ষভাবে ভূমিকা রেখে পাহাড়ে শান্তর জন্য সহযোগিতা করবেন।

এসময় রাঙামাটি রাজবন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের সভাপতি গৌতম দেওয়ান, সাবেক মানবাধিকার কমিশনের সদস্য নিরূপা দেওয়ান ও বাঞ্ছিতা চাকমাসহ রাজ বন বিহার উপাসক-উপাসিকা পরিষদের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকালে পূণ্যবর্তী উপাসিকা বিশাখা কর্তৃক প্রবর্তিত নিয়মে পঞ্চশীল গ্রহণের মধ্যদিয়ে ২দিন ব্যাপী শুরু হয়েছে বৌদ্ধদের এ মহাপুণ্যাযজ্ঞ ৪৬তম দানোত্তম কঠিন চীবর দান।

বিকালে সূত্রপাঠ করে বেইন ঘর উদ্বোধন করবেন মহাপরিনির্বাণগত মহাসাধক শ্রীমৎ সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের শিষ্যমন্ডলীগণ ও চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায় চরকায় সূতা কেটে দুই দিনের কঠিন চীবর দান উৎসবের সূচনা করেন। কাল শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বিকালে ভিক্ষু সংঘের কাছে চীবর দানের মাধ্যমে শেষ হবে দানোত্তম কঠিন চীবর দান।



এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions