সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। টানা কয়েকদিনের প্রবল বর্ষনের প্রভাবে বান্দরবানের সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে বিপদসীমা অতিক্রম করছে। ফলে জেলা সদর ছাড়াও লামা আলীকদমের বহু নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ঘর ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে বহু পরিবার।
এদিকে বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের বাজালিয়ায় সড়ক পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় আজ সকাল থেকে বান্দরবানের সাথে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। রাঙামাটির সাথে গতকাল থেকে সড়ক যোগাযোগ ব্যহত হচ্ছে,ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন দূূূর গন্তব্যের মানুষ।
বান্দরবান পূর্বানী মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ঝন্টু দাশ জানান, বান্দরবান কেরানিহাট সড়কের বাজালিয়ায় সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় তারা বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়েছেন, পানি নেমে গেলে বাস চালু করা হবে।
এর আগে সোমবার পাহাড় ধসের কারণে বান্দরবানের সাথে রুমা ও থানচির সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে পড়ে। পরে সেনাসদস্যদের তৎপরতায় সড়ক যোগাযোগ চালু হয়। শুক্রবার থেকে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় থানচি ভ্রমনে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
এদিকে চলতি বর্ষা মৌসুমে পাহাড় ধসে প্রানহানি ঠেকাতে মাঠে নেমেছে জেলা ও পৌর প্রশাসন। প্রতিদিন পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। লামা ও বান্দরবান সদরে গতকাল দিনভর অভিযান পরিচালনা করেছে জেলা ও উপজেলা প্রশাসন। এ সময় রেডক্রিসেন্টর সদস্যরা প্রশাসনকে সহযোগিতা করে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় জেলা প্রশাসন নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খুলেছে। পুরো জেলায় আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে ১২৬ টি। সোমবার রাত থেকে আশ্রয় নেয়া মানুষদের জন্য শুকনো খাবার বিতরণ করছে বিভিন্ন প্রতিষ্টান।
এদিকে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে সরে যেতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক মো. দাউদুল ইসলাম।