শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

কেএস মং মারমাসহ গ্রেফতারকৃতদের মুক্তির দাবিতে ঢাকায় পিসিপির বিক্ষোভ

প্রকাশঃ ২৭ মে, ২০১৯ ০৮:৩১:৪৩ | আপডেটঃ ১৯ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:০২:৪৩  |  ৩৩৯২
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামািট। গত ২৫ মে বান্দরবানে পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এস.মং মারমা ও বান্দরবান জেলা জে.এস.এসের সাধারন সম্পাদক এবং রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাবা মং মারমাসহ গ্রেফতারকৃত  জেএসএস নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবীতে ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে সমাজ বিজ্ঞান চত্বর ঘুরে কলা ভবন প্রদক্ষিণ করে আবারো অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে গিয়ে সমাপ্ত হয়। পরে সেখানে সংগঠনের সিনিয়র সহ-সভাপতি শুভ দেব চাকমার সভাপতিত্বে এবং তথ্য প্রচার সম্পাদক ব্যাবিলন চাকমার পরিচালনায় একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশের শুরুতে স্বাগত বক্তব্যে পিসিপি ঢাকা মহানগর শাখার সদস্য রমেল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে সব সময় একটি ভীতিকর অবস্থার মধ্যে রাখার জন্য সেখানে সব সময় কোনো না কোনো সমস্যাকে জিইয়ে রাখা হয়। আর সে সমস্যা গুলোর অজুহাতে পাহাড়ের  জুম্ম জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে নেতৃত্বে থাকা জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দকে সব সময় টার্গেট করা হয়। যার ফলশ্রুতিতে বিগত ২৫ মে বান্দরবানে জেএসএসের কেন্দ্রীয়সহ-সাংগঠনিকসম্পাদক কে.এস.মং মারমা এবং বান্দরবান জেলা শাখার সাধারন সম্পাদক ক্যাবা মং মারমাসহ অপরাপর নেতাকর্মীদের উপর মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে গ্রেফতার করা হয়। তিনি গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নি:শর্ত মুক্তির দাবী সহঅবিলম্বে পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়নের দাবী জানান উক্ত সমাবেশ থেকে ।

সংহতি বক্তব্যে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য  সরল তঞ্চঙ্গ্যা বলেন, বান্দরবানের আওয়ামীলীগ নেতা চাথুই মং মারমাকে কে বা কারা অপহরণ করে হত্যা করেছে তার দায় এক তরফাভাবে কেন জনসংহতি সমিতির নেতৃবৃন্দের উপর চাপানো হবে। সাম্প্রতিক সময়ে বান্দরবান এবং পুরো পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্মমভাবে জেএসএস নেতা কর্মীদের হত্যার পর তো কাউকে গ্রেফতার করতে আমরা দেখিনি। পাহাড়ের প্রশাসনকে তিনি দল কানা না হয়ে নিরপেক্ষ হওয়ার আহ্বান জানান এবং পাহাড় থেকে সেনা-শাসন তুলে নেওয়ার জোর দাবী জানান । এছাড়া তিনি আওয়ামীগ নেতাচাথুইমং মারমার হত্যাকান্ডসহ অপরাপর জেএসএস নেতাকর্মীদের হত্যাকান্ড এবং সকল প্রকার সংঘটিত সহিংসতার নিরপেক্ষ তদন্ত এবংবিচারের দাবী করেন।

বাংলাদেশ আদিবাসী ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারন সম্পাদক অলীক মৃ তার সংহতি বক্তব্যে বলেন, পাহাড়কে সব সময় একটি সমস্যার জালে আটকে রাখা হয়। আর সেই জালে জড়ানো হয় জনসংতি সমিতির নেতৃবৃন্দকে।এক তরফাভাবে এই দায় চাপানো রাষ্ট্রের পরিহাস ছাড়া আর কিছু নয়।তিনি অবিলম্বে গ্রেফতারকৃতদের মুক্তি দিয়ে পাহাড়ে  স্থায়ী শান্তি স্থাপনের জন্য পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়নের জোর দাবী জানান।

প্রসঙ্গত: গত ২২ মে ২০১৯ ইং বান্দরবান জেলার কুহালং ইউনিয়নের উজিমুখ হেডম্যান পাড়া থেকে বান্দরবান পৌরসভার সাবেক কমিশনার ও পৌরআওয়ামীলীগসহ-সভাপতি চাথুই মংমারমাকে অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা অপহরণ করে নিয়ে যায় এবং তাকে হত্যা করা  হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৫ মে ২০১৯ইং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কে.এস.মং মারমা ও বান্দরবান জেলা জে.এস.এসের সাধারন সম্পাদক এবং রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ক্যাবা মং মারমাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পাহাড়ী ছাত্র পরিষদের ঢাকা মহানগর শাখার তথ্য ও প্রচার সম্পাদক ব্যাবিলন চাকমা প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions