শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
রাঙামাটিতে ৮ হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে আওয়ামীলীগের বিক্ষোভ সমাবেশ

আমরা কেবল ফুল দিতেই থাকব আর আপনারা গুলি করবেন এটা হয় না : দীপংকর তালুকদার এমপি (ভিডিওসহ)

প্রকাশঃ ২০ মার্চ, ২০১৯ ০৯:০৩:১৯ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৩:২৪:২৭  |  ৪৯১৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি বাঘাইছড়ি এবং বিলাইছড়ি হত্যাকান্ডের নিন্দা জানিয়ে ঘটনার জন্য জেএসএসকে করে বলেছেন, হত্যা করে আওয়ামীলীগকে নিশ্চিহৃ করা যাবে না, আমরা আপনাদের কেবল ফুল দিয়েই যাব আর আপনারা আমাদেরকে গুলি করবেন এটা আর সহ্য করা হবে না। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল বলে আমাদের দুর্বল ভাববেন না।

রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যার হত্যার প্রতিবাদে গতকাল বুধবার সকালে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের সামনে আওয়ামীলীগের  বিক্ষোভ সমাবেশের সভাপতি বক্তব্যে দীপংকর তালুকদার এমপি একথা বলেন।

দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, ২০১৮ সনের নির্বাচনে জনগন আমাদের নির্বাচিত করার পর আঞ্চলিক দল জেএসএসের সন্ত্রাসীরা আমাদের নেতা কর্মীদের প্রানে মেরে হুমকি দেয়। জনগন ভোট দিয়ে আমাদের নির্বাচিত করেছে, এবার আমরা জিতেছি তারা হেরেছে, গতবার তারা জিতেছিল আমরা হেরেছিলাম কই আমরা হারার পর কাউকে তো মারিনি, কাউকে আঘাত করেনি তাহলে আমাদের নেতা কর্মীদের কেন মারবেন।


সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আওয়ামীলীগের রাঙামাটি সভাপতি ও রাঙামাটি সংসদ সদস্য  দীপংকর তালুকদার,  সহ সভাপতি নিখিল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর,  জেলা মহিলা লীগের সভাপতি ফিরোজা বেগম চিনু, কাপ্তাই উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি অংসুুচাইন চৌধুরী, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সদস্য অংসুই প্রু চৌধুরী, রাঙামাটি সদর উপজেলার নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান শহিদুজ্জমান রোমান, সদর উপজেলার আওয়ামীলীগ সভাপতি হৃদয় রঞ্জন চাকমা রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী।


দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমাদের লড়াইটি হচ্ছে পার্বত্য অঞ্চলে বসবাসরত পাহাড়ী-বাঙালী সকল জাতি, বর্ণ, ধর্মের মানুষ যেন যার যার ন্যায্য অধিকার পায়। আর যারা এর বিপরীতে এর বিরুদ্ধে, তারা চায় না আওয়ামীলীগ পার্বত্য অঞ্চলে শক্তিশালী হোক। এই জন্যই অস্ত্রধারীরা প্রথমে অরবিন্দু চাকমা, ঝর্ণা চাকমা, রাসেল মারমা ও সর্বশেষ বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সুরেশ কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করেছে।  

তিনি আরো বলেন, অবৈধ অস্ত্রধারীদের লক্ষ্য একটাই সমাজে আতঙ্ক, ঘৃণা সৃষ্টি করা। এইগুলো করে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করা। সুরেশ কুমার তঞ্চঙ্গ্যাকে যারা হত্যা করেছে, তারা মনে করেছে আওয়ামীলীগ পার্বত্য অঞ্চলে মাথা তুলে দাড়াতে পারবে না, আওয়ামীলীগ নিশ্চিহ্ন  হয়ে যাবে। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনে সাধারণ মানুষ বিপুল ভোটে আওয়ামীলীগকে জয়ী করে। আওয়ামীলীগকে মানুষ ভালোবাসে এবং সাধারণ জনগণ অবৈধ অস্ত্রধারীদের হাত থেকে মুক্তি চায়। শুধু তাই নয় এবারের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১০টি উপজেলার মধ্যে আওয়ামীলীগ ৫টি ও আওয়ামীলীগের সমর্থনে ২টিতে নির্বাচিত হয়। অবৈধ অস্ত্রধারীরা এখন বুঝতে পেরেছে মানুষ হত্যা করে, আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে আওয়ামীলীগের বিজয়-জনপ্রিয়তা ঠেকানো যাবে না। সুতারাং যারা ভেবেছিল আওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের হত্যা করে আওয়ামীগকে নিশ্চিত করা যাবে তারা বোকার স্বর্গে বাস করছে।



দীপংকর তালুকদার এমপি আরো বলেন, আমাদের আস্থা, বিশ্বাস আছে সরকার প্রধানের উপর ও প্রশাসনের উপর। আমরা প্রশাসনকে আরো সময় দিতে চাই। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে যারা অবৈধ অস্ত্রের মাধ্যমে বাঘাইছড়ি ও বিলাইছড়িতে হত্যাযোজ্ঞ চালিয়ে তাদের চিহ্নিত করে যথোপোযুক্ত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা না হয় তাহলে হরতাল কেনো হরতালের চাইতেও বড় কর্মসূচি দিতে আমরা বাধ্য হবো।

সমাবেশে  বক্তারা হত্যাকান্ডের জন্য জেএসএসকে দায়ী করেন। তারা বলেন, পাহাড়ে অবিলম্বে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে। এখন আর প্রতিবাদ নয় প্রতিশোধ নেয়া হবে।



প্রসঙ্গত: গত মঙ্গলবার সকালে সুরেশ কান্তি তার পরিবারসহ একটি ইঞ্জিন চালিত নৌকা নিয়ে ফারুয়া ইউনিয়নের ফারুয়া থেকে বিলাইছড়ি সদরে আসার পথে নৌকার গতিরোধ করে নৌকা থেকে নামিয়ে সন্ত্রাসীরা সুরেশ কান্তিকে লক্ষ্য করে  গুলি করে। পালিয়ে যায়। ঘটনাস্থলে সুরেশ কান্তির মৃত্যু হয়।

সমাবেশে আগে  আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনগুলো সকাল ১১ টায়  রাঙামাটি পৌর প্রাঙ্গন থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করে এবং মিছিলটি রাঙামাটি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে।



এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions