শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

রাঙামাটি আসবাবপত্র সমিতির সংবাদ সম্মেলনে

প্রকাশঃ ০৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০৮:৩৮:৫১ | আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৩:৪৫:১৮  |  ১১২৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি জেলা ও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে উৎকোচ, অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তোলা হয়েছে। সোমবার আহূত রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করা হয়। দুপুরে শহরের কাঠালতলীর সমিতির কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন, সভাপতি মো. আমিনুল ইসলাম শামীম।
এ সময় তাকে সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আবদুল শুক্কুরসহ অন্য নেতারা সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে সহায়তা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলা হয়, সমিতির বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির মেয়াদ শেষ না হওয়া স্বত্ত্বেও এবং বিধি অনুযায়ী সব কর্মকান্ড পরিচালনা করা হলেও দুর্নীতিগ্রস্ত জেলা ও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার যোগসাজশে রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতিকে ধ্বংস করতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত নির্বাচনে পরাজিত কতিপয় কুচক্রী। তারা বিধিবহির্ভূতভাবে একটি অবৈধ অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে এবং আমাদের সমিতিকে ভাঙতে অপচেষ্টা চালায়। পরে আমাদের আপিলে ওই কমিটি বাতিল ঘোষণার জারি করেছে, চট্টগ্রামের বিভাগীয় সমবায় দফতর। মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে এসব ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছেন, জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইউসুফ হাসান চৌধুরী ও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা আশিষ কুমার দাশ।

লিখিত বক্তব্যে সমিতির সভাপতি আমিনুল ইসলাম শামীম বলেন, ২০১৮ সালের ১৩ ডিসেম্বর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তাদের অনুপস্থিতিতে আবদুল ওয়াদুদ, মহিউদ্দিন পেয়ারু, কামাল উদ্দিন, দিদারুল আলম, আবুল কাশেম, জাহাঙ্গীর আলম গংয়ের নেতৃত্বে ৩০-৪০ লোক সমিতিকার্যালয়ে অনুপ্রবেশ করে। ওই সময় তারা সমিতির গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র, স্বাক্ষর করা চেকের পাতা এবং সঞ্চয় আমানতের ৬০-৭০ হাজার টাকা লুট করে।

উল্লেখ্য, ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর অনুষ্ঠিত সরাসরি নির্বাচনে সমিতির সদস্যদের প্রত্যক্ষ ভোটে বর্তমান ব্যবস্থাপনা কমিটির কর্মকর্তারা নির্বাচিত হয়েছেন। আমরা সমবায় আইন ও বিধি মোতাবেক সমিতি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছি। এ অবস্থায় নির্বাচনে পরাজিতদের যোগসাজশে এবং তাদের কাছ থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়ে জেলা ও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা নির্বাচিত কমিটি ভেঙে দিয়ে গত ৬ জানুয়ারি একটি অবৈধ অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি করে দেন।
পরে ১৭ জানুয়ারি চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দফতরের যুগ্ম নিবন্ধক বরাবরে আমরা আপিল করি। আপিলে তাদের অবৈধ অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি বাতিল ঘোষণা করে তার আদেশ জারি করেন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দফতরের যুগ্ম নিবন্ধক। এ ছাড়াও জেলা ও সদর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তার বদলির দাবিতে আমরা প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে আবেদন করেছি।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমবায় দফতরের যুগ্ম নিবন্ধক আশীষ কুমার বড়–য়ার স্বাক্ষরে জারি করা রায়ের আদেশে বলা হয়, রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ীকল্যাণ বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা নির্বাহে রাঙামাটি জেলা সমবায় কর্মকর্তার অনুমোদনে গঠিত অন্তর্বর্তী ব্যবস্থাপনা কমিটি যথাযথ নয় মর্মে বিবেচিত হওয়ায় তা বাতিল করা হল।

এ বিষয়ে জানতে ফোনে যোগাযোগ করা হলে জেলা সমবায় কর্মকর্তা ইউসুফ হাসান চৌধুরী বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অনিয়ম, দুর্নীতি ও উৎকোচ নেয়ার অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। আমি শুধু একটি এডহক কমিটির অনুমোদন দিয়েছিলাম। তা পূর্ণাঙ্গ কমিটি নয়। সেটি টাকার বিনিময়ে অনুমোদন করিনি।  

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions