সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। গতকাল ২৪ মে মঙ্গলবার ছিলো রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের কাউন্সিল, কাউন্সিলকে ঘিরে নেতা কর্মীদের মধ্যে ছিলো উৎসব মুখর পরিবেশ। সবার আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু ছিলো সভাপতি পদটি। ১৯৯৬ সন থেকে টানা ২৬ বছর ধরে রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছেন দীপংকর তালুকদার এমপি। নানা কারণে সভাপতি পদে কেউ প্রার্থী হতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি।
কিন্তু এবারের কাউন্সিলে দীপংকর তালুকদারের বিপক্ষে প্রার্থী হয়েছিলেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড এর চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা। কাউন্সিলের তারিখ ঘোষণার পর থেকে বিভিন্ন উপজেলা সফর করেন এবং কাউন্সিলারদের সাথে মতবিনিময় করে কাউন্সিলে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তুতিও নেন। তখনও পর্যন্ত তাকে দলের সভাপতির পদ থেকে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের জন্য কেউ অনুরোধ করেনি। গতকাল কাউন্সিলের প্রথম অধিবেশনের পর দ্বিতীয় অধিবেশন শুরুর আগে সভাপতি ও সম্পাদক পদে প্রার্থীদের মধ্যে সমঝোতার জন্য রাঙামাটি সার্কিট হাউজে বৈঠকে বসেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এসময় আওয়ামীলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য প্রকৌশলী মোশারফ হোসেন, কেন্দ্রীয় যুগ্ন সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিখিল কুমার চাকমা জানান, এসময় দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের মধ্যে মোশারফ ভাই আমাকে কাউন্সিলের প্রার্থীতা থেকে সরে যেতে অনুরোধ করেন, সে সময় তিনি বলেন, কাউন্সিলারদের সাথে কথা বলে জানাবেন, তিনি এখন সরে দাঁড়াবেন না। এরপর মোশারফ ভাই সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও নেত্রীকে ফোন করেন, তখন নেত্রী বলেন, নিখিলকে সরে দাঁড়াতে বলো, ওকে আমি দেখব। এরপর আমি নেত্রী ও দলের সিনিয়রদের অনুরোধে দাদাকে (দীপংকর তালুকদার এমপি) সমর্থন দিয়ে সরে দাঁড়াই। নিজের ইচ্ছায় সরে দাঁড়াইনি, দলের বৃহত্তর ও ঐক্যের স্বার্থে আমি সরে দাঁড়িয়েছে। আমি সমর্থক ও কাউন্সিলার সাথে আলোচনা করার সুযোগ পাইনি, সে জন্য তাদের কাছে দু:খ প্রকাশ করছি, আর সাধারন সম্পাদক পদে সমঝোতা না হওয়ায় সেখানে ভোটাভুটি হয়েছে।
নিখিল কুমার চাকমা আরো বলেন, আমি নির্বাচনের জন্য সম্পুর্ণ প্রস্তুত ছিলাম, যে কোন নির্বাচনে হারজিত থাকে, সবাই জিতে না, আমি বিজয়ী হই বা না হই দলের স্বার্থে, দলকে সুসংগঠিত করতে দাদার নেতৃত্বে কাজ করতাম, আগেও করেছি। কিন্তু দলের বৃহত্তর স্বার্থে ত্যাগ স্বীকার করলেও কেউ কেউ সামাজিক মাধ্যমে ভুল তথ্য দিয়ে প্রপাগান্ডা ছড়াচ্ছে নিজেদের মধ্যে বিভাজন রেখা তৈরি করছে যা কখনো কাম্য নয়।
দলে প্রতিযোগিতা থাকবে, প্রতিযোগিতার মাধ্যমে নেতৃত্ব উঠে আসবে এখানে সমালোচনা করার কোন সুযোগ নেই।
আমি আশা করি বর্তমান নেতৃত্ব সবাইকে সাথে নিয়ে দলকে সুসংগঠিত করবে, দল আরো শক্তিশালী হবে। একই সাথে আগামী নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে।