শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

সরকার অক্ষরে অক্ষরে শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করবে: সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের

প্রকাশঃ ২৪ মে, ২০২২ ০১:০৫:৫৬ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ১১:৩০:৫৫  |  ৮৮০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী  ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সরকার পার্বত্য এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করার জন্য পার্বত্য শান্তি চুক্তি করেছে। চুক্তির ফলে গত ১৩ বছরে পাহাড়ের রাস্তাঘাট অনেক পাল্টে গেছে, মানুষের জীবনমানের পরিবর্তন এসেছে। সেখানে রাস্তা ঘাট, কাল ভাট ব্রীজ হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, নেত্রীর পক্ষ থেকে সবাইকে একথা বলতে চাই চুক্তির প্রতিটি শর্ত, প্রতিটি ওয়াদা অক্ষরে অক্ষরে বাস্তবায়ন করা হবে।

মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসাবে ভার্চুয়্যালি বক্তব্য রাখতে গিয়ে  ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, ভুমি জটিলতা ছাড়া সব উন্নয়নই পাহাড়ে করেছে শেখ হাসিনার সরকার। ভুমি সমস্যার সমাধান হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, আমাদের উপর আস্থা রাখুন, শেখ হাসিনার উপর আস্থা রাখুন আমরা কাজ করে যাচ্ছি। হানাহানি, মারামারি রক্তপাত এই পাহাড়ে আর চাই না।

সকাল ১০টায় রাঙামাটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট প্রাঙ্গনে আয়োজিত সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দীপংকর তালুকদার এমপি। উদ্বোধক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন এমপি। এছাড়া দলটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ এমপি, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন এমপি, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, অর্থ ও পরিকল্পনা বিষয়ক সম্পাদক ওয়াসিকা আয়েশা খাঁন এমপি, উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, তিন পার্বত্য জেলার মহিলা সংসদ সদস্য বাসন্তী চাকমা প্রমুখ বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সমাবেশ পরিচালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বর। সম্মেলনে জেলা ও পৌর আওয়ামী লীগ এবং ১০ উপজেলা ও তৃণমূলের ২৪৬ জন কাউন্সিলরসহ প্রায় ২ হাজার নেতাকর্মী যোগ দেন।

রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দুর্দিনে যারা অনেক ত্যাগ-তিতিক্ষ্যা স্বীকার করে দলে কাজ করেছিলেন, সেইসব দুঃসময়ের নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করে দলকে আরও শক্তিশালী করুন। ত্যাগীদের মূল্যায়ন করলে দল সব সময় শক্তিশালী অবস্থানে থাকবে। দুঃসময়ের ত্যাগী নেতাকর্মীদের কেউ দলের বাইরে থেকে থাকলেও তাদেরকে আবার ফিরিয়ে আনতে হবে। কোনো কলহ থাকলে তা ঘরের মধ্যে মিমাংসা করে নিতে হবে। জনগণের পাশে থেকে দলকে মজবুত করতে হবে। জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামনের নির্বাচনে আবার দলকে অবশ্য ক্ষমতায় আনতে হবে। সেই লক্ষ্যে দলীয় নেতাকর্মী সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করুন।

প্রেসিডিয়াম সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ হোসেন বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম যখন অশান্ত ছিল গোলাগুলি হতো তখন শান্তি স্থাপনের জন্য জননেত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় একটি কমিটি হয়। সেখানে আমিও ছিলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিনা গোলাগুলিতে শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরে সম্ভব হয়েছিল। পৃথিবীতে এ ধরনের নজির কোথাও নেই। পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তি স্থাপনের জন্য শেখ হাসিনাকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া উচিত।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল হানিফ বলেন, ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপি এখন বাংলাদেশ শ্রীলংকা হয়ে যাবে বলে মিথ্যাচার অপপ্রচার চালাচ্ছে। তাদেরকে বলব, বাংলাদেশ কখনও শ্রীলংকা আফগানিস্তান হবে না। কারণ জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন, তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আছে। বিএনপি বাংলাদেশের উন্নয়ন চায় না। তাই তারা নানা ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকে। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সব সেক্টরে উন্নয়ন কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু বিএনপি জামায়াত তা পছন্দ করে না। কারণ তারা পাকিস্তানের সৃষ্ট।

বিকালে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions