খাগড়াছড়িতে মংসাজাই চৌধুরী’র ৩১-তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

প্রকাশঃ ১৩ জানুয়ারী, ২০২০ ১১:২৫:৫৫ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:০২:১৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। পার্বত্য খাগড়াছড়িতে শান্তি ও সম্প্রীতি বির্নিমাণের অন্যতম প্রবক্তা, আশির দশকের বিশিষ্ঠ পাহাড়ি নেতা মংসাজাই চৌধুরী গুম হবার ৩১-তম বার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে জেলা শহরের ‘মারমা উন্নয়ন সংসদ (মাউস)’-এর মিলনপুরস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন তাঁর (মংসাজাই চৌধুরী) সন্তান ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী।

মাউস-এর কেন্দ্রীয় সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য রাখেন সাবেক পৌর চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সম্পাদক মংক্যচিং চৌধুরী, জেলা পরিষদ সদস্য খগেশ্বর ত্রিপুরা, মাউস-এর কেন্দ্রীয় সা: সম্পাদক ও জেলা উন্নয়ন কমিটির আহ্বায়ক মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, বিশিষ্ঠ লেখক ও গবেষক অংসুই মারমা এবং সমাজকর্মী মংনু মারমা বলি।

সভা শুরুর আগে সভায় উপস্থিত সকলে অস্থায়ী বেদীতে স্থাপিত মংসাজাই চৌধুরী’র প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

সভায় বক্তারা মংসাজাই চৌধুরী’র জীবন ও কর্মের স্মৃতিচারণ করে বলেন, আশির দশকে পার্বত্য খাগড়াছড়ি জেলার অস্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতি চলাকালে শান্তি ও সম্প্রীতি ধরে রাখতে তিনি সাহসী ভূমিকা পালন করেন। রাজনৈতিক চাপে যাতে পাহাড়িরা নিজ জন্মভূমি ও ভিটেমাটি ছেড়ে শরণার্থী না হোন, সেজন্য জোরালো জনমত গঠনে সক্রিয় ছিলেন। অধিকন্তু তিনি পাহাড়ি-বাঙালি ভ্রাতৃঘাতী সংঘাত বন্ধে প্রভাবশালী রাজনৈতিক শক্তির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন। আর এজন্যই অপশক্তি তাঁকে ১৯৮৯ সালের ১৩ জানুয়ারি গুম করে ফেলেন।

স্মরণ সভা শেষে মংসাজাই চৌধুরী’র আত্মার শান্তি কামনায় দরিদ্র মানুষদের মধ্যে বিপুল পরিমাণ শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।
উল্লেখ্য, মংসাজাই চৌধুরী বাংলাদেশের মারমা জাতিগোষ্ঠির সামাজিক সংগঠন ‘মাউস’-এর প্রতিষ্ঠাতা সহ-সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৩৬ সালের ২৩ জানুয়ারি গুইমারার এক সম্ভ্রান্ত জমিদার পরিবারে জন্মগস্খহণ করেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions