নানিয়ারচরে সার্বজনীন মহা সংঘদান অনুষ্ঠিত

প্রকাশঃ ১৩ ডিসেম্বর, ২০১৯ ০৬:১৭:১১ | আপডেটঃ ২৫ এপ্রিল, ২০২৪ ০৬:৩৮:১৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির নানিয়াচরে  প্রথমবারের মত উপজেলাবাসীর উদ্যোগে সার্বজনীন মহাসংঘদান অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় ধর্মীয় ভাব গাম্ভীর্য্যে শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বুদ্ধ পতাকা উত্তোলন ও উদ্ধোধনী ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে শুরু দান অনুষ্ঠান পঞ্চশীল প্রার্থনা, বুদ্ধমূর্তিদান,সংঘদান,অষ্টপরিস্কার দান,হাজার বাতি দান, প্যাগোডার উদ্দেশ্য টাকা দান,পিন্ডুদান, উৎসর্গসহ নানাবিধ দান করা হয়।

পরে ভগবান বুদ্ধ ও পরিনির্বানপ্রাপ্ত মহাসাধক সাধনানন্দ মহাস্থবির বনভান্তের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করা হয়। এছাড়া নানিয়ারচর থেকে ৫জন ভিক্ষুসহ মোট ৮জন ভিক্ষুকে সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। নানিয়ারচর উপজেলাসহ দূর-দূরান্ত থেকে হাজারো পুণ্যার্থী অনুষ্ঠানে অংশ গ্রহণ করেন। সাধু সাধু সাধু ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠে রাজবন বিহার প্রাঙ্গন। ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধে অনুষ্ঠানে পাঁচ মিনিট নিরবতায় থেকে ভাবনা করেন পুণ্যার্থীরা।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাক্তন উপমন্ত্রী মণিস্বপন দেওয়ান। আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক রাঙামাটি জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উদযাপন কমিটির উপদেষ্টা নিখিল কুমার চাকমা। নানিয়ারচর উপজেলার সার্বজনীন মহাসংঘদান উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রগতি চাকমা। এসময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, রাজবন বিহার পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক অমীয় খীসা, ড. রূপম দেওয়ানসহ উদযাপন কমিটির উপদেষ্টাসহ ¬অন্যান্য প্রমূখ ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। এতে পঞ্চশীল প্রার্থনা করেন উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুদ্বীপ্ত চাকমা। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কমল কান্তি দেওয়ান।

অনুষ্ঠানে ধর্মীয় দেশনা দেন রাঙামাটি রাজবন বিহারের আবাসিক প্রধান ও বিহার অধ্যক্ষ শ্রীমৎ প্রজ্ঞালঙ্কার মহাস্থবির। আরো  দেশনা দেন, ফুরমোন সাধনাতীর্থ আন্তর্জাতিক বনধ্যান কেন্দ্রের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ভৃগু মহাস্থবির, নানিয়ারচর রত্নাংকুর বনবিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বিশদ্ধানন্দ মহাস্থবিরসহ রাজবন বিহারের সিনিয়র ভিক্ষু জ্ঞানপ্রিয় মহাস্থবির।

অনুষ্ঠানে দেশনাকালে ভিক্ষুরা বলেন, এ উদ্যোগ খুবই প্রশংসনীয়। এভাবে প্রচার ও প্রসারিত হবে পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ ধর্ম হিসেবে বিবেচিত বৌদ্ধধর্ম। তবে ধর্মের পাশা-পাশি পঞ্চশীল পালন করতে হবে। পঞ্চশীল পালনে গৃহী জীবনে উন্নতি হবে। দান ও শীলের পাশা-পাশি ভাবনা করতে হবে। এছাড়া দেশনাকালে ভাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধ করে উভয়ের মধ্যে হানা-হানি,মারা-মারি না করে ঐক্যর পথে আহ্বান জানান।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions