হিংসা-হানাহানি, লোভ-মোহ ত্যাগ করে গৌতম বুদ্ধের আদর্শ অনুসরনের আহবান

প্রকাশঃ ০২ নভেম্বর, ২০১৯ ০৭:২০:১১ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৫০:২৮
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। বনভান্তের অন্যতম শিষ্য নন্দপাল মহাস্থবির হিংসা-হানাহানি, লোভ-মোহ ত্যাগ করে গৌতম বুদ্ধের আদর্শ অনুসরনের আহবান জানিয়েছেন। তিনি জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মৈত্রীবানী প্রচার ও প্রসার ঘটানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন। নন্দপাল ভান্তে মাদক ও সকল অধর্ম কাজ ত্যাগ করে ভালোর পথে কাজ করার পরামর্শ দেন। সকলের শান্তির জন্য ধর্মীয় আচারন ছাড়া কোন বিকল্প নেই।

তিনি শনিবার  খাগড়াছড়ি-রাঙামাটির সীমান্ত বাঘাইছড়ি উপজেলার অজল চুগ বন বিহারে পঞ্চম মহান কঠিন চীবর দান উৎসবে সমবেত দায়ক দায়িকাদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন।

অজল চুগ বন বিহারের বিহারধ্যাক্ষ সত্যমতি ভান্তের সভাপতিত্বে ধর্মদেশনা অনুষ্ঠানে প্রধান ধর্মীয় আলোচক ছিলেন বনভান্তের অন্যতম শিষ্য নন্দপাল মহাথের ভান্তে। এতে আরো বক্তব্য রাখেন তিন পার্বত্য চট্টগ্রামের সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য বাসন্তি চাকমা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ সদস্য শতরূপা চাকমা প্রমূখ। এসময় সাধনাটিলা বন বিহারের বিহারধ্যক্ষ বুদ্ধ বংশ মহাথের, দীঘিনালা বনবিহারের বিহারাধ্যক্ষ শুভ বর্ধন মহাস্থবিরসহ দুই পার্বত্য জেলার শতাধিক বৌদ্ধ ভিক্ষু  এবং কয়েক  হাজার নর-নারীরা ও শিশুরা পুন্যলাভের আশায় অংশগ্রহন করেন।  

সকালে ও বিকেলে এ উপলক্ষে দেশ জাতি ধর্মবর্ন নির্বিশেষে সকলের  বিশ^শান্তি ও মঙ্গল কামনায় পঞ্চশীল গ্রহন, বুদ্ধপূজা, সংঘদান, অষ্ট পরিস্কার দান কল্পতরু দান ও চীবর দান উৎসর্গ করা হয়।

এর আগে সকালে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারযোগে নন্দপাল মহাস্থবির খাগড়াছড়িতে ষ্টেডিয়ামে অবতরণ করেন। এ সময় তাকে তিন পার্বত্য জেলার নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কংজরী চৌধুরী ও জেলা পরিষদ সদস্য শতরুপা চাকমাসহ দায়ক দায়িকারা ঐতিহ্যবাহী মাঙ্গলিক ছাতায় তাঁকে বরণ করেন। ধর্মপ্রাণ  বৌদ্ধ নারী পুরুষরা এ সময়  তাকে এক নজর দেখতে ভিড় করেন।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions