জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হলেন চিংকিউ রোয়াজা

প্রকাশঃ ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৯ ০১:২২:০৪ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৫:০১:৩৩
শাহ আলম, সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটিতে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অবৈতনিক সদস্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, সাবেক রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মারমা সংস্কৃতি সংস্থার (মাসস)এর প্রধান উপদেষ্টা এবং বর্তমান রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি চিংকিউ রোয়াজা।

নতুন এই জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের কমিটিতে সাবেক সিনিয়র সচিব নাছিমা বেগমকে চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদকে সার্বক্ষণিক সদস্য করে ৭ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়।

এবারের এই নয়া কমিটিতে নতুন পাঁচ অবৈতনিক সদস্য হলেন, সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী তৌফিকা আফতাব, রাঙামাটি জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, সাবেক জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ জেসমিন আরা বেগম, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ মিজানুর রহমান খান ও সাবেক সচিব নমিতা হালদার।

জাতীয় মানবাধিকার মানবাধিকার কমিশন আইন-২০০৯ অনুযায়ী আজ রোববার (২২সেপ্টেম্বর) আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ এর স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

এ ব্যাপারে চিংকিউ রোয়াজা’র সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, মহামান্য রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরিত জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়া একটি পত্র পেয়েছেন। প্রদত্ত দায়িত্ব যাতে যথাযথভাবে সম্পাদন করতে পারেন, সেজন্য তিনি সকলের কাছে আশীর্বাদ চেয়েছেন।

আইন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ শহিদুল হকের সই করা ওই আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নাছিমা বেগম চেয়ারম্যান থাকাকালীন তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের একজন বিচারকের মতো বেতন-ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।

অপর এক প্রজ্ঞাপনে সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন আহমেদকে মানবাধিকার কমিশনের সার্বক্ষণিক সদস্য হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে সরকার। সুপ্রিম কোর্টের হাই কোর্ট বিভাগের একজন বিচারকের বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুবিধাদি পাবেন তিনি।

এর আগে, মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে ছিলেন কাজী রিয়াজুল হক। গত ১ আগস্ট পর্যন্ত তার মেয়াদ ছিল এই পদে। তবে নির্ধারিত মেয়াদের একমাস আগেই তিনি এই পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। ফলে গত প্রায় তিন মাস চেয়ারম্যান ছাড়াই চলছিল মানবাধিকার কমিশন।

প্রসঙ্গত: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৮ সালের ১ ডিসেম্বর এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন গঠন করা হয়। পরবর্তীতে চেয়ারম্যান হিসেবে চেয়ারম্যান বিচারপতি আমীরুল কবির চৌধুরীকে নিয়োগ দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ১৪ জুলাই জাতীয় সংসদে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আইন পাস হয়।

সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions