বৃহস্পতিবার | ২৮ মার্চ, ২০২৪

জেলা প্রশাসককে বিদায় সংবর্ধনা দিলো আসবাবপত্র সমিতি

প্রকাশঃ ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ০১:৩৬:৩৩ | আপডেটঃ ২৭ মার্চ, ২০২৪ ০৯:৪০:৪৪  |  ৯০৯
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমিতি লিমিটেড এর পক্ষ হতে রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের বদলিজনিত কারণে বিদায় সংবর্ধনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (২৭ ফেব্রুয়ারী) বিকাল ৪টায় আসবাবপত্র ব্যবসায়ি সমিতির সম্মেলন কক্ষে সমিতির উদ্যোগে এ বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হয়।

রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমিতি লিমিটেড এর সভাপতি মো: মিজানের  সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো: মহিউদ্দিন পেয়ারুর সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভার আয়োজনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায়ী সংবর্ধিত অতিথি জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ মামুন কে বিদায়ী সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

এসময় রাঙামাটি চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্টির সভাপতি আবদুল ওয়াদুদসহ রাঙামাটি আসবাবপত্র ব্যবসায়ী কল্যাণ বহুমুখী সমিতি লিমিটেড এর নব-নির্বাচিত পরিষদের সদস্যবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে নেতৃবৃন্দরা বলেন, সংবর্ধিত বিদায়ী জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ মামুন রাঙামাটিতে প্রায় ৩ বছর দায়িত্ব পালনে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় ও এলাকার উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। বিশেষ করে এই জেলায় শিক্ষা, সাংস্কৃতিক, যোগাযোগ ব্যবস্থায় অনেক উন্নয়ন হয়েছে। সমতিরি নেতৃবৃন্দরা আরো বলেন, জেলা প্রশাসক ব্যবসায়ীদের প্রতি আন্তরিক ছিলেন। রাঙামাটি আসবাবপত্র সমিতির সকল সমস্যায় তিনি এগিয়ে এসেছেন। বিশেষ করে বন বিভাগের সাথে কিছু প্রশাসনিক জটিলতা ছিলো তা বিদীয় জেলা প্রশাসক সমাধান করে দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি রাঙামাটিতে যোগদান করার পর থেকে একদিনের জন্যও আসবাবপত্র ব্যবসায়ীদের ব্যবসা বন্ধ হয়নি। এজন্য জন্য সমিতির পক্ষথেকে জেলা প্রশাসক কে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দরা।

সর্বশেষ নেতৃবৃন্দ বক্তব্যে বলেন, বিদায়ী জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ ছিলেন একজন সৎ ও যোগ্য মেধাবী সদালাপি সরকারি কর্মকর্তা। তার ৩বছর চাকরিকালিন সময়ে রাঙামাটির সার্বিক পরিস্থিতি অত্যন্ত ভাল ছিল।

অনুষ্ঠানে বিদায়ী জেলা প্রশাসক মামুনুর রশীদ মামুন তার বক্তব্যে বলেন, যে কোন সরকারী কর্মকর্তাকে চাকুরী জনিত কারণে বদলী হতে হয়। আমিও তার ব্যতিক্রম নই। এক স্থানে দীর্ঘদিন থাকার পর বদলী হলে সেটি অত্যন্ত বেদনাদায়ক হয়। তবে পদোন্নতির কারণে আমার বদলীর মধ্যে আনন্দ ও বেদনা দু’টিরই সংমিশ্রণ রয়েছে। প্রশাসনিক ক্যাডারে অনেক কর্মকর্তা থাকলেও জেলা প্রশাসক হিসেবে মাঠ পর্যায়ে জনগণের সাথে কাজ করার সুযোগ অনেক কম কর্মকর্তারই হয়ে থাকে। আমার এই সুযোগ হওয়াতে আমি আমার মেধা, দক্ষতা ও সততা দিয়ে রাঙামাটিতে ৩বছরের অধিক কর্মকালীন সময়ে যতটুকু পেরেছি জেলার সকলের সাথে সমন্বয় সাধনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি। জেলা প্রশাসক জেলার সকল দপ্তরের কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। সেই হিসেবে একজন জেলা প্রশাসক একটি জেলায় বেশী দিন থাকেন না। আবার সরকারী কর্মকর্তাদের পদোন্নতির ধারাবাহিকতার কারণে এক জায়গায় বেশী দিন কাজ করার সুযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে আমি ভাগ্যবান যে এ জেলায় অনেকদিন কাজ করার সুযোগ পেয়েছি।

সর্বোপরি আমার কর্মকালীন সময়ে জেলার সাধারণ মানুষের উন্নয়নে সর্বদা কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি আশা করবো আমার উত্তরসুরী যিনি জেলা প্রশাসক হিসেবে আসবেন তিনিও আমার এই উন্নয়ন কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবেন। আমি আরও বেশী আনন্দিত হবো যখন আমি জানবো আমার উত্তরসুরীকে জেলার সকল কর্মকর্তা আমাকে যেভাবে সহযোগিতা করেছেন সেভাবে সহযোগিতা করছেন।

আলোচনা সভা শেষে অনুষ্ঠানে ফুলের তোড়া, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী দিয়ে জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ মামুন কে বিদায়ী সংবর্ধনা জানানো হয়।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions