বৃহস্পতিবার | ২৫ এপ্রিল, ২০২৪
দুর্নামের গ্লানি মুছতে পারেনি খাগড়াছড়ি জেলা পরিষদ !

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস, আটক ১

প্রকাশঃ ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২১ ১২:২৩:১৯ | আপডেটঃ ২৩ এপ্রিল, ২০২৪ ১১:২৮:৩২  |  ২২৫০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। আবারও দুর্নামের গ্লানি মুছতে পারেনি খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ। দীর্ঘ প্রতিক্ষিত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগের লিখিত পরীক্ষা শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারী) অনুষ্ঠিত হয়। খাগড়াছড়ি সদরের ৫ টি কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হওয়া এ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়া পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ কেন্দ্রে এক প্রার্থীকে লিখিত উত্তর পত্র সরবরাহ করতে গিয়ে মুহাম্মদ সাজু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজ্জাদ হোসেন। পাশাপাশি পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ তুলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হচ্ছে।  

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও একাধিক পরীক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, কেন্দ্রে প্রবেশের সময় অনেক পরীক্ষার্থী মুঠোফোন ও উত্তর নিয়ে প্রবেশ করেছে। বাহির থেকে যেসব উত্তর লিখে এনেছে তার হুবহু প্রশ্নপত্রে ছিল। মুঠোফোন ব্যবহার করে ইন্টারনেট ও বাহির থেকেও উত্তর জানানোর অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও  উত্তরপত্র সরবরাহ করতে এসে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে আটক হওয়া ব্যক্তির কাছে যে উত্তরপত্রটি ছিল তাতেও প্রশ্নের সাথে মিল রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে নিয়োগ কমিটির আহ্বায়ক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরীর মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা টিটন খীসা মুঠোফোনে জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন অভিযোগ তিনি শোনেননি।

নিয়োগ কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন জানান, প্রশ্নপত্র ফাঁসের কথা তিনি জানেন না। তবে পরীক্ষার কেন্দ্রে নিয়ম বর্হিভূত ভাবে প্রবেশের অভিযোগে একজনকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আটক করেছে বলে শুনেছেন।

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদে ন্যস্ত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৮৬ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে। মামলা, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও করোনাকালীন সংকটের কারণে দীর্ঘ সাড়ে ৩ বছর বন্ধ ছিল এ নিয়োগ কার্যক্রম। এ নিয়োগে চাকরীর প্রার্থী রয়েছে ৩ হাজার ৫ শ ৬৭ জন। এর আগে, ২০১৭ সালে অনুষ্ঠিত হওয়া প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায়ও ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। প্রাথমিক শিক্ষার মতো স্পর্শকাতর এ বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে প্রতিবারে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ বরাবরের মতো কাটিয়ে উঠতে পারেনি।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions