বৃহস্পতিবার | ২৮ মার্চ, ২০২৪

খাগড়াছড়িতে সম্প্রসারতি হচ্ছে বাণজ্যিকি ভিত্তিক উচ্চ ফলনশীল পেঁপে চাষ

প্রকাশঃ ১৯ নভেম্বর, ২০২০ ০৩:১১:০৩ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০২:১৮:০৩  |  ২৮৯০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। খাগড়াছড়িতে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পেঁপে চাষ ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে করে বহু উদ্যোক্তা যেমন আর্থিক উর্পাজনের পথ খুঁজে পেয়েছে, তেমনি বহু মানুষের কর্মসংস্থানের পথ সৃষ্টি হয়েছে।

বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেঁপে চাষ অতীতে খাগড়াছড়িতে হয়না বললেই চলে। কিন্তু গত চার বছর ধরে অবস্থার পরিবর্তন হয়েছে। বহু উদ্যোক্তা উচ্চ ফলনশীল পেঁপে চাষ করে বেশ লাভবান হয়েছেন।

খাগড়াছড়ি জেলা সদরের সুরেন্দ্র মাষ্টার পাড়া ও শিব মন্দির এলাকায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে বেশ কয়েকটি পেঁপে বাগান গড়ে উঠেছে। চাষীরা জানান, পেঁপে চাষে অর্থ বিনিয়োগ করলে খুব দ্রুত তা ফিরে পাওয়া যায়। এটি বেশ লাভজনক। অর্থাৎ পেঁপে চাষে অর্থ বিনিয়োগ করলে পাঁচ মাসের পর থেকে বিনিয়োগের অর্থ ফেরত পাওয়া শুরু হয়। তার মানে পেঁপে বাগানের পাঁচ মাসের পর থেকে ফলন পাওয়া শুরু হয়।

এই এলাকার সবচেয়ে বড় বাগানের মালিক হলেন সুজন চাকমা। তিনি জানালেন, তারা তিন বন্ধু মিলে চার একর পতিত জমি, চার বছরের জন্য লিজ নিয়ে পেঁপে বাগান শুরু করেছেন এ বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে। লিজ নেয়া জায়গায় তারা চার হাজার উচ্চ ফলনশীল রেডলেডি জাতের পেঁপে চারা রোপন করেন। আগষ্ট মাস থেকে বাগানে ফলন শুরু হয়। এর আগে তারা পেঁপে চারার সাথে সাথি ফসল হিসেবে খিরা রোপন করেছিলেন। সেই খিরা বিক্রি করে তারা পাঁচ লক্ষ টাকা আয় করেছিলেন। খিরা থেকে উপার্জিত আয় ও নিজেদের বিনিয়োগ করা অর্থ মিলে তারা এ পর্যন্ত মোট সাড়ে ১৩ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। তিনি আরো জানান ইতিমধ্যেই তাদের বাগানের বিনিয়োগ করা অর্থ তুলতে পেরেছেন।




অক্টোবর মাস থেকে এই বাগানটি তারা এক ব্যবসায়ীর কাছে ৬৫ লক্ষ টাকায় লিজ দিয়েছেন। এই লিজ এর মেয়াদ ৩১ চৈত্র (১৩ এপ্রিল) পর্যন্ত। ঐ ব্যবসায়ী বর্তমানে বাগান থেকে প্রতি সপ্তাহে ১০-১২ টন পেঁপে সংগ্রহ করেন। এই পেঁপে সে ঢাকা, চট্টগ্রাম, ফেনি, কুমিল্লায় সরবরাহ করেন।
শিব মন্দির এলাকার আরেক চাষী দেবব্রত চাকমা জানান, পেঁপে চাষ লাভজনক তবে চাষীকে চাষের কৌশল জানতে হবে ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকতে হবে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ, খাগড়াছড়ি সূত্রে জানা যায়, এ বছর খাগড়াছড়ি জেলায় ৩৯২ হেক্টর জমিতে পেঁপে চাষ হচ্ছে। গত বছরের তুলনায় এই আবাদের পরিমাণ ১২০ হেক্টরের বেশী।

খাগড়াছড়ি পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মুন্সি রশিদ আহমদ জানান, পাহাড়ি এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে সমতল জায়গা গুলোতে পেঁপে চাষ খুবই উপযোগী। ইদানিং বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে পেঁপে চাষ খাগড়াছড়িতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা এই এলাকার অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে।

অর্থনীতি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions