শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ

কিছু হলেই আমাদের উপর দোষ চাপানো ঠিক না : তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা (অডিওসহ)

প্রকাশঃ ০১ এপ্রিল, ২০১৮ ১১:৩১:৪২ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ০৪:৪৯:৪১  |  ৪৭৯৫

সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। গনতান্ত্রিক ইউপিডিএফ নেতা তপন জ্যোতি চাকমা ওরফে বর্মা বলেছেন, এখানে কয়েকটা আঞ্চলিক দল আছে। এক দলের লোক যদি ক্ষতিগ্রস্থ হয় অন্যদলকে দায়ী করবে এটা এখন নিয়ম হয়ে গিয়েছে। যারা ইউপিডিএফ দলের সদস্য দাবি করে, অন্য দলকে দায়ী করতেছে। এখন এই মহুর্তে এইসব নিয়ে না ভেবে, না খুজে, ভাবা উচিত কিসের জন্য লোকটি মারা যাচ্ছে? এটাও একটা দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। ইউপিডিএফ কিছু হলে দায়ি করে নতুন গণতান্ত্রিক নতুন ইউপিডিএফ আঞ্চলিক দলকে। এখন যদি জেএসএস এর কেউ ক্ষতিগ্রস্থ হতো তারাও অন্য দলকে দায়ি করতো। এটাকে প্রাধান্য না দিয়ে যারা মারা যাচ্ছে কিংবা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে এইগুলোর রহস্য খোঁজা দরকার। কেন মরছে, কে মারছে, কোথায় ঘটনা ঘটছে, কেন ঘটছে এইগুলোও তদন্ত করা দরকার। এটা সাংবাদিকদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে।

টেলিফোনে বর্তমান পার্বত্য এলাকার পরিস্থিতি অপহরন ও খুন নিয়ে জানতে চাইলে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, সরকারের সাথে জেএসএস এর সাথে যে পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে সেটাকে  ইউপিডিএফ বলছে কালো চুক্তি ও আপোষ চুক্তি।  এই চুক্তিকে তারা মানে না। তারা বলে এই চুক্তিধারা জুম্ম জনগণের ভাগ্য পরিবর্তন হয় নাই। এই ইস্যু নিয়ে প্রসীত  বিকাশের নেতৃত্বে ১৯৯৮সালের ২৬ডিসেম্বর ঢাকায় তারা সম্মেলনের মাধ্যমে তারা নতুন দল গঠন করেছে।

একই নিয়মে, একই পদ্ধতিতে আমরা বিশেষ বাস্তবতার কারণে ২০১৭সালে নভেম্বর মাসে আমরা নতুন দল গঠন করেছি।
এখন আমাদের এই নতুন দলকে ইউপিডিএফ, সন্ত্রাসী দল হিসেবে আখ্যা দিচ্ছে। আমাদেরকে মুখোশ বাহিনী বলতেছে। এই কথাগুলোতো ১৯৯৭ সালে ইউপিডিএফকেও  জেএসএস বলেছিল।

আমাদের নতুন দল যদি সন্ত্রাসী দল হয় তাহলে সন্ত্রাসী দলের ব্যাখ্যা কি। আমরা যতটুকু বুঝি যাদের হাতে অবৈধ অস্ত্র থাকে তারা সন্ত্রাসী। তাহলে ২০০০সালে নানিয়ারচর মহালছড়ির সীমান্তবর্তী বেতছড়ি ১৮মাইল এলাকার দিক থেকে ৩জন বিদেশী অপহরণ করেছিল, কারা করেছিল? নিশ্চই ইউপিডিএফ করেছে। এই ৩জন বিদেশীকে উদ্ধার করার জন্য তৎকালীন সরকার দলীয় লোকজন ইউপিডিএফ এর হাতে ৫৬লক্ষ টাকা দিয়ে ছাড়িয়ে নিয়ে গেছে। তাহলে ইউপিডিএফ কিভাবে গণতান্ত্রিক দল হতে পারে?

আমাদের নতুন দল গঠনের মূল কথা হচ্ছে আমরা ইউপিডিএফ থেকে বিচ্ছিন্ন না। ইউপিডিএফ ভেতরে যে দুনীতি, অনিয়ম, পক্ষপাতিত্ব স্বেচ্ছাচারিতা যেগুলো আছে, সেগুলোর বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান। ইউপিডিএফ এর ভেতরে সব কর্মীগুলো কিন্তু খারাপ না। কতিপয় নেতা এরা ইউপিডিএফ কে ব্যানার করে, পুজি করে, পকেট স্বার্থ রক্ষা করার জন্য দুর্নাম ছড়িয়ে দিচ্ছে, ব্যবহার করছে। এইসব কতিপয় নেতাদেরকে আমরা চিহিৃত করে পরিহার করে আমরা নতুন দল গঠন করেছি।  


পাহাড়ের রাজনীতি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions