শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
রাঙামাটিতে যোগদান অনুষ্ঠানে ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব

পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি

প্রকাশঃ ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২০ ০৫:৫৫:১০ | আপডেটঃ ২৯ মার্চ, ২০২৪ ১০:১৯:০৩  |  ১০৬৪
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামে স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারের দাবি জানিয়েছেন  বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব এম এ মতিন। তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সম্পাদনকালীন সময়েও আমরা শঙ্কাবোধ করেছিলাম যে, এই চুক্তির মাধ্যমে আদৌ শান্তি প্রতিষ্ঠিত হবে কি না? ২২ বছর পরেও আমাদের শঙ্কা বাস্তব প্রমানিত হয়েছে। শান্তি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। চুক্তির মাধ্যমে কিছু অকেজো ও সেকেলে অস্ত্র জমা দেয়া হয়েছে সত্যি আসল মরণাস্ত্র ও অত্যাধুনিক অস্ত্র শস্ত্র এখনো সন্ত্রাসীদের হাতে রয়ে গেছে। এ অস্ত্র পরিপুর্ন উদ্ধার করা না গেলে শান্তি প্রতিষ্ঠা সুদূর পরাহত। এ জন্য সরকারের কাছে দাবি অবিলম্বে কঠিন কঠোর চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে সর্বাধিক গুরুত্ব দিতে হবে। অবৈধ উদ্ধার না হলে এতদ্বঞ্চলে অব্যাহত চাঁদাবাজি-হানাহানি বন্ধ হবে না।

শনিবার রাঙামাটি প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে জেলা ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনায় যোগদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

রাঙামাটি জেলা ইসলামী ফ্রন্টের সিনিয়র সহ সভাপতি মাওলানা শফিউল আলম আল-ক্বাদেরীর সভাপতিত্বে এতে বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব স উ ম আবদুস সামাদ, আইন সচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম, জেলা ইসলামী ফ্রন্ট সাধারন সম্পাদক আলহাজ্ব সাব্বির আহমদ ওসমানী, সহ সাধারন সম্পাদক এম এ মুস্তফা হেজাজী, যুবসেনার কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ আখতার হোসেন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক নুরুল্লাহ রায়হান খান, পরিকল্পনা সম্পাদক এইচ এম শহীদুল্লাহ, প্রকাশনা সম্পাদক সাইফুল ইসলাম নেজামী প্রমুখ। জেলা যুবসেনার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মনসুর আলীর পরিচালনায় এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা যুবসেনার সভাপতি মোঃ আলী খাঁন ও শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা ছাত্রসেনার সভাপতি মোঃ ইসমাঈল হোসেন মুন্না।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ইসলামী ফ্রন্ট মহাসচিব এম এ মতিন আরো বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় কার্যকরের মাধ্যমে দেশকে কলঙ্কমুক্ত করতে সরকারের উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। তিনি বলেন শান্তির ধর্ম ইসলাম কখনো জঙ্গীবাদ ও মানবতা বিরোধী অপরাধকে সমর্থন করেনা। ইসলামের নামে যারা জঙ্গীবাদের উস্কানি দিচ্ছে তারাও যুদ্ধাপরাধীদের মত সমান মানবতা বিরোধী অপরাধে অপরাধী। শীঘ্রই জঙ্গীবাদে মদদদাতাদের কঠোর শাস্তির আওতায় এনে দেশকে জঙ্গীবাদ মুক্ত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।

পরে বিভিন্ন দলের অর্ধ শতাধিক নেতাকর্মী ইসলামী ফ্রন্ট, যুবসেনা ও ছাত্রসেনায় আনুষ্ঠানিক যোগদান করেন।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions