শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

করোনার মধ্যেও থেমে নেই আঞ্চলিক দলগুলোর আধিপত্য বিস্তারের : গুলিতে নিহত ৬

প্রকাশঃ ০৭ জুলাই, ২০২০ ০৬:০৫:১২ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৭:০০:৪৪  |  ৩৬৫৭
সিএইচটি টুডে ডট কম, বান্দরবান। বান্দরবানে পার্বত্য এলাকার আঞ্চলিক গ্রুপের সশস্ত্র হামলায় আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী এমএন লারমা গ্রুপের সভাপতিসহ ৬জন নিহত হয়েছে, এসময় গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরো তিনজন।

৭ জুন (মঙ্গলবার ) সকাল ৭টার দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের বাঘমারা বাজার পাড়ায়এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন জনসংহতি সমিতি সংস্কারপন্থী গ্রুপের বান্দরবান জেলা শাখার সভাপতি রতন তঞ্চঙ্গ্যা (৬৫), সাধারণ সম্পাদক প্রজিত চাকমা (৬২), ডেভিড মারমা (৫৫), জয় ত্রিপুরা (৪০), দীপেন ত্রিপুরা (৪২), মিলন চাকমা (৬০)।

ঘটনার গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছে নিরু চাকমা (৫০), বিদুৎ ত্রিপুরা (৩৮) ও শিক্ষার্থী মেমানু মারমা (২৬)। আহত ৩জনকেই প্রথমে বান্দরবান সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সামপ্রুই মারমা জানান, সকালে হঠাৎই বাঘমারা বাজার পাড়ার পশ্চিম দিক থেকে একটি সশস্ত্র গ্রুপ এলাকায় প্রবেশ করে সংস্কারপন্থী গ্রুপের সভাপতির বাসায় অতর্কিত হামলা চালায়। নিহতরা সবাই ওই ঘরেই অবস্থান করছিলেন। তবে হামলার পর বেশকিছু সদস্য পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তবে নিহতদের মধ্যে রতন তংচঙ্গা ও তার সদস্য প্রজিত চাকমা ছাড়া অন্য সদস্যদের কেউ চিনেন না বলে জানান।

সুত্রে জানা যায়,গত মার্চ মাসে রতন তংচংগ্যাকে সভাপতি করে ৩১ সদস্য বিশিষ্ট বান্দরবানে জনসংহতি সমিতির সংস্কারপন্থী গ্রুপের কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি গঠনের পর থেকেই জনসংহতি সমিতির সন্তু লারমা গ্রুপের সাথে তাদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দ্বন্দ্ব^ চলেই আসছিল।

এদিকে ঘটনার পর বাঘমারা বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে গেছে। আতঙ্কে স্থানীয়রা অনেকেই নিরাপদ জায়গায়চলে গেছেন, থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে বাঘমারা ও আশপাশ এলাকায়।

এদিকে প্রশাসন বলছে হত্যাকান্ডের পরে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এবং তদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে কারা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।  

বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আখতার বলেন,আমরা হত্যাকান্ডের সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় পুলিশ পাঠিয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রেখেছে। তিনি আরো বলেন,গুলিবিদ্ধ আহত তিনজনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল  কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে এবং নিহত ৬জনের লাশ বান্দরবান সদর হাসপাতারে মর্গে আনা হয়েছে।

করোনার এই সময়ে পার্বত্য এলাকায় আঞ্চলিক সংগঠনগুলোর আধিপত্য বিস্তারে হত্যকান্ডে আতংকিত পুরো পার্বত্য এলাকা।

বান্দরবান |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions