সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটির স্থানীয় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটসের চলমান জরুরী স্বাস্থ্য সেবা, খাদ্য সহায়তা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ বিষয়ে অবহিতকরন সভা আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটসের এর নির্বাহী পরিচালক বিপ্লব চাকমার সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ। বিশেষ অতিথি হিসাবে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) অমিতাভ পরাগ তালুকদার, সিভিল সার্জন ডা: বিপাশ খীসা ও জুরাছড়ি উপজেলা চেয়ারম্যান সুরেশ কুমার চাকমা বক্তব্য রাখেন।
সভায় জেলা প্রশাসক একেএম মামুুনুর রশীদ বলেন, পাহাড়ে অনেক এনজিও কাজ করে মানুষের দুর্ভোগের সময় কাউকে কাছে পাওয়ায় যায় না, আশিকা হাম উপদ্রুত এলাকা সাজেকে চিকিৎিসা সেবা দেয়ার পাশাপাশি ও সীমান্তবর্তী এলাকায় খাদ্য সামগ্রী, স্বাস্থ্য সেবা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করেছে এটি তাদের ধন্যবাদ পাওয়া যোগ্য তেমনি ভবিষ্যতে কাজ করার সময় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে কাজ করে তাহলে মানুষের চাহিদা অনুযায়ী আমরা সম্মিলিতভাবে কাজ করতে পারব, এতে জনগনও উপকৃত হবে।
জেলা প্রশাসক ভবিষাতে উন্নয়ন কাজ করার সময় দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেয়ার আহবান জানিয়ে বলেন, সাজেকসহ সীমান্তবর্তী এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট রয়েছে, সেখানে ঝর্ণার পানি ব্যবহার করে কিভাবে বিশুদ্ধ পানি পাওয়া যেতে পারে ডিপথ টিবওয়েল বসানো যায় কিনা এসব বিষয়ে এখনই চিন্তা ভাবনা করতে হবে।
সভায় জানানো হয়, ষ্টার্ট ফান্ড বাংলাদেশ ও ইউকেএইডের সহযোগিতায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা আশিকা সীমান্তবর্তী দুর্গম উপজেলা বাঘাইছড়ির সাজেকের হাম উপদ্রুত এলাকার ২শ পরিবারকে স্বাস্থ্য সেবা এবং বাঘাইছড়ির সাজেক ও দুম্যদুম্য সীমান্ত এলাকার ১ হাজার পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দিয়েছে।
ছবি: রাঙামাটি পুলিশ হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয়ের জন্য নগদ ১ লাখ টাকা প্রদান করে আশিকা ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েটস
আশিকার দেয়া তথ্যে অনুযায়ী বাঘাইছড়ির সাজেকে হাম আক্রান্ত ২শ পরিবারকে নগদ ১ হাজার টাকা করে ২ লাখ টাকা, পুষ্টিকর খাবার বিতরণ ও মেডিকেল টীম তাদের স্বাস্থ্য কার্যক্রম এখনো অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া ৭শ পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়, যার মধ্যে চাল, ডাল, তেল, লবন, পেয়াজ এসব ছিল। একই সাথে সেখানকার ৪শ পরিবারকে বিশুদ্ধ পানির জন্য ১৫ লিটারের ট্যাংকি এবং ১ মাসের জন্য পানি বিশুদ্ধ করণ ট্যাবলেট দেয়া হয়।
জুরাছড়ির সীমান্তবর্তী দুমদুম্যা এলাকায় ৩শ পরিবারের মাঝে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়, যার মধ্যে ছিল চাল ৪০ কেজি, তৈল ৪ কেজি, ডাল ৪ কেজি, নাপ্পি ২ কেজি, লবন ১ কেজি, চিনি ১ কেজি, মটর ৪ কেজি, আলু ৫ কেজি এবং দেড় লিটারের পানির ট্যাংকসহ খাবার পানি বিশুদ্ধ করণ উপকরণ বিতরণ করা হয়। এছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ ও আশিকার যৌথ উদ্যোগে ৪শ পরিবারকে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
এছাড়া কোভিড ১৯ শুরু হওয়ার পর জনগনকে সচেতন করতে বিল বোর্ড, লিফলেট ও ব্যানার বানানো হয়েছে। এছাড়া জেলার ১০টি উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ অন্যন্যা স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও নেবুলেজার দেয়া হয়।
এদিকে আজ এডভোকেসী সভা শেষে রাঙামাটি পুলিশ হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার ক্রয়ের জন্য নগদ ১ লাখ টাকা এবং পাহাড় ধব্বস মোকাবেলায় নানিয়াচর উপজেলার স্বেচ্ছাসবেকদের জন্য রেইন কোর্ট, বোট জুতা ও টর্চ লাইট বিতরণ করা হয়।