শনিবার | ২০ এপ্রিল, ২০২৪

খাগড়াছড়ি রাঙামাটি সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন, দীঘিনালার বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তীত

প্রকাশঃ ১৪ জুন, ২০১৮ ০৮:২৮:৫৬ | আপডেটঃ ১১ এপ্রিল, ২০২৪ ১২:৩৩:৩৫  |  ১৩০২
সিএইচটি টুডের ডট কম, খাগড়াছড়ি। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে খাগড়াছড়ি জেলা শহর ও রামগড় উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির  উন্নতি  হয়েছে। তবে   অপরিবতীত রয়েছে জেলার দীঘিনালার উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির । জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৪ সহ্রাধিক পরিবার এখনো পানি বন্দি এবং বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে  ৩ সহ¯্রাধিক  পরিবার অবস্থান করছেন। 
দীঘিনালা উপজেলার ২০টি আশ্রয় কেন্দ্রের দেড় হাজার পরিবারের কেউ বাড়ীঘরে ফিরতে পারছেন। বৃষ্টি না হওয়ায় খর¯্রােতা ফেনী ও চেঙ্গী নদীর পানি কমতে শুরু করায় বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। রাস্তার উপর থেকে পানি সরে না যাওয়ায় দীঘিনালা মেরুং লংগদু সড়ক ও  খাগড়াছড়ি-রাঙ্গামাটি সড়ক যোগাযোগ এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে । ফটিকছড়ি-নাজিরহাট এলাকায় রাস্তার উপর পানি উঠে যাওয়ায় খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম সড়কেও –যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। 
 জেলা প্রশাসক মো:রাশেদুল ইসলাম জানান, দুর্গতদের জন্য জেলায় ৪৮টি আশ্রয় কেন্দ্রে খোলা হয়েছে। পৌর এলাকার আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে পৌরসভার মাধ্যমে এবং অন্যান্য আশ্রয় কেন্দ্রে স্থানীয় প্রশানের মাধ্যমে দু বেলা খাবার অন্যান্য সহায়তা দেয়া হচ্ছে। দুবেলা খাবারসহ আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ২১ মে:টন খাদ্যশষ্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।সরকারের কাছে বরাদ্দ চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছে।
খাগড়াছড়ির আলুটিলা, রামগড়ের নাকাপা এলাকায় রাস্তার উপর পাহাড় ধ্বসে পড়া মাটি অপসারণ  করেছে সড়ক বিভাগ। এছাড়া জেলার আলুটিলা, সবুজ বাগ, শালবন, কুমিল্লাটিলাসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এতে প্রাণহানি না হলেও ঘরবাড়ীর ক্ষতি হয়েছে।  পরিস্থিতি আরও অবনতির আশংকায় ঝুঁকিপূণ এলাকায় বসবাসকারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে মাইকিং এর পাশাপাশি স্থানীয় উদ্বুদ্ধ করছে  প্রশাসন। প্রয়োজনে জোরকরে ঝুকিপুর্ণ এলাকা থেকে সরিয়ে নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক।
স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি জেলা সদর দীঘিনালা উপজেলায় সেনাবাহিনীর স্থানীয় জোন এর পক্ষথেকেও দুর্গত মানুষের  খিচুড়ী  বিতরণ করা হচ্ছে ।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions