শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

পাহাড় ধস পরবর্তী আমার ও আমাদের সাংবাদিকতা : হিমেল চাকমা

প্রকাশঃ ১৩ জুন, ২০১৮ ০৪:৪৯:২১ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৩:৩৬:৩৮  |  ২২৫৬
১৩ জুন সকাল ৭টা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া এক ছোট ভাই ফেসবুকের ইনবক্সে বলল গত রাতে কাপ্তাই রাইখালীতে পাহাড় ধসের মাটি চাপা পড়ে তিনজন ঘটনাস্থলে মারা গেছে! ঘুমন্ত অবস্থায় ঘরের উপর পাহাড় ধস হয়। সে সময় রাঙামাটিতে বজ্রপাতসহ অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছিল।
চন্দ্রঘোনা থানার তখনকার ওসি তখনও ঘুমে। চিংহ্লা ইউপি চেয়ারম্যানও বিষয়টি জানেন না। ঘটনা শতভাগ সত্য। কিন্তু নির্ভরযোগ্য একজনের স্বীকারোক্তি লাগবে যে। কিন্তু পাচ্ছিলাম না। আটকে ছিল সংবাদ।

সংবাদটি  নিশ্চিত করানোর জন্য আমার প্রয়োজন ছিল পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, স্থানীয় জনপ্রতিনিধির স্বীকারোক্তি। পরে সে গ্রামের ইউনিয়ন পরিষদের সদস্যকে মোবাইলে পেয়ে তাকে দিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে টিভিতে সর্বশেষ টিকার দিয়েছিলাম।
এরপর একটু ফ্রেশ হব। এর মাঝে খবর এল রাঙামাটি শহরে যুব উন্নয়ন কার্যালয় সংলগ্ন এলাকায় মাটি চাপায় মা ছেলে মেয়েসহ চার জনের প্রাণহানী হয়েছে! তার মানে নিহতের সংখ্যা হল সাত?

একজন টেলিভিশন সাংবাদিক হয়ে এবার কি ঘরে বসে থাকা যায়? আমরা সাংবাদিকরা জানতাম না এবং  জেলা প্রশাসনও জানত না যে, ততক্ষণে মাটি চাপা পড়ে মানুষের মৃতের সংখ্যা একশত ছাড়িয়ে গেছে। কারণ যা হয়েছে একই সময়ে ঘটনাগুলো ঘটেছে।

রাইখালী সংবাদ প্রেরণ করে কাউকে বিরক্ত না করে সরাসরি হাসপাতালে গেলাম। কারণ সেখানে সঠিক তথ্য পাব। দেখি দুই জনের মরদেহ হাসপাতালের বারান্দায়। কিন্তু চার জনের কথা না বলা হল, তাহলে আরো দুজন থাকার কথা।
স্বজন ও  জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত নার্সের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হলাম এরা যুব উন্নয়নের মাটি চাপা পড়ে নিহত হওয়া মানুষ। স্বজনরা নিশ্চিত করলেন আরো দুজন মাটি চাপা পড়ে নিখোঁজ আছে। তারা মারা গেছে এটা শতভাগ নিশ্চিত। শুধু মরদেহ উদ্ধার বাকী এই।
এ সংবাদ প্রেরণ করলাম। আপডেট তথ্য রাঙামাটিতে নিহতের সংখ্যা ৭। মনে সন্দেহ, মনে মনে বলছিলাম ওরা যদি জীবিত উদ্ধার হয়!   
এ খবর যখন দিচ্ছিলাম তখন  আহত ব্যাক্তিদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে আনা হচ্ছে।  আনা হচ্ছে  লাশ। যেন হিসাব করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। অবিরাম বৃষ্টি। রোগী নিয়ে ডাক্তার-নার্স সবাই ব্যস্ত। দেড় দুই ঘন্টার ব্যবধানে ১৭ টি লাশ আনা হল হাসপাতালে। ব্যস্ততার ফাঁকে সিভিল সার্জনের সাথে কথা বললাম।

তিনি ২১ জন মৃত্যুর কথা নিশ্চিত করেন। যদিও এসব লাশ হাসপাতালে আনা হয়নি। কাপ্তাইয়ের লাশগুলো আনা হয়নি।   সিভিল সার্জন বললেন ২১ জনের মৃত্যু হয়েছে তা নিশ্চিত হয়েছি।

তখন পর্যন্ত টেলিভিশন টিকারে সর্বশেষ সংবাদ পরিবেশনে আমরা  এগিয়ে ছিলাম। যাক হাসপাতালে আপাতত কাজ নেই তবে ছবি নিতে হবে। কিন্তু বৃষ্টি হচ্ছে প্রচুর। মোটর সাইকেল নিয়ে ছবি তুলতে যাওয়া কোনভাবে সম্ভব ছিল না। এমন সময় বিটিভির মোস্তফা ভাই  (মোস্তফা কামাল) মিন্টু দা ( উন্নয়ন বোর্ড পাড়া কেন্দ্রের রাঙামাটি জেলা সমন্বয়ক) সহ হাসপাতালে মিন্টু দার গাড়ি নিয়ে হাসপাতালে আসলেন। হাসপাতালের দৃশ্য দেখা শেষ।


মোস্তফা ভাই বলেন, আমাদের সাথে চল হিমেল ঘুরে দেখে আসি। তাদের গাড়িতে উঠে গেলাম ভেদভেদী। এনএসআই ভবন নামতেই আটকে গেলাম। সড়কে পাহাড় ধসে পড়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ। সেখান থেকে কিছু ছবি নিয়ে রওনা দিলাম মানিকছড়ির দিকে।  কারণ খবর এসেছিল মানিকছড়িতে সড়কের উপর পাহাড় ধস হওয়ায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়েছে। মানিকছড়ির পাহাড় নামতেই মানিকছড়ি আর্মি ক্যাম্পে বিশাল জটলা। গাড়ি, মানুষের ভিড়। হুইসেল বাজছে। গাড়ি থেকে নামতেই ধরাধরি করে সেনাবাহিনী দুই সদস্যকে তাদের জীপে তোলা হচ্ছে। ওদের অবস্থা আর তাদের সহকর্মীদের কান্না দেখে বুঝার বাকী নেই ওরা আর জীবিত নেই। হয়েছেও তাই। মুলত সড়কের উপর পড়া মাটি সরিয়ে যান চলাচলের ব্যবস্থা করতে গিয়ে তাদের উপরে পাহাড় ধস হয়েছে। দুজনকে সাথে সাথে উদ্ধার করা সম্ভব হলেও বাকী তিন জনকে উদ্ধার করা হয়েছে পরে।

এ দৃশ্য দেখতেছি। কিন্তু আমাদের উপরও যে পাহাড় ধস হতে পারে সেদিকে খেয়াল নেই কারোর। কারণ সে সময় সমস্ত পাহাড় ও সড়ক ঝুকিপূর্ণ হয়ে উঠেছিল। সেখান থেকে ফিরে আবার হাসপাতালে।
রাঙামাটিতে একদিনে এত মৃত্যু হবে! আর এ খবর প্রচারে আমরা সাংবাদিকরা যেমন প্রস্তুত ছিলাম না তেমনি প্রশাসনও এত বড় বিপর্যয় হবে কল্পনাও করতে পারেনি।
হাসপাতালে এসে আপডেট তথ্য নিলাম। মৃতের সংখ্যা ৩৫ জন। এ খবর দিয়ে মনে হয় দুই টার দিকে হাসপাতাল ত্যাগ করে বাসায় গিয়ে পোশাক পরিবর্তন করে  রাজবাড়ির সাবারাং রেস্টুরেন্টের পাশে একটি দোকানে গেলাম। সেখানে বসে পাহাড় ধসের কথা বলছিলাম। এ সময় অফিসের সেন্ট্রাল ডেস্ক থেকে ফোন। হিমেল অন্য টিভিতে মৃতের সংখ্যা তো ৬৩ জন দেখানো হচ্ছে!


কিছুক্ষণ আগে হাসপাতাল থেকে ফিরলাম! এ তথ্য কিভাবে হল? নির্দেশ ভাল করে দেখ। এ নিউজের উৎস কি? আমার মাথায় যেন বজ্র পড়ার মত হল। এত ব্যবধান! সিভিল সার্জনের সাথে আবার কথা বললাম। তাদের ওখানে ৩৫ জনের তথ্য আছে। তিনি বললেন, ডিসি অফিসে খবর নিয়ে দেখ। এক সহকর্মীকে কল দিলাম সে ডিসি অফিসে আছে। দিলাম দৌড় ডিসি অফিসে। যেখানে যেতেই মৃতের সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৪ জন। এ তথ্য জেলা প্রশাসক নিয়ন্ত্রণ কক্ষ থেকে। অর্থাৎ সেখানে শুধু বসে বসে মৃত ব্যাক্তিদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। জনপ্রতিনিধিরা এ খবর দিচ্ছিল।
আমার একটু উদাসীনতার কারণে পিছিয়ে পড়ি। আমার দরকার ছিল জেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ রাখার। আমি তা না করার কারণে সংবাদ প্রচারে পিছিয়ে পড়ি। কারণ এ ধরণের ঘটনা জীবনে প্রথম। আমরা সাধারণত  মরা মৃত্যু সংবাদের জন্য পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস, হাসপাতালের উপর বেশী নির্ভরশীল হই।
কিন্তু প্রাকৃতিক দুর্যোগে জেলা প্রশাসন যে  গুরুত্বপূর্ণ তা জানা ছিল না।
এ পাহাড় ধস শিক্ষা দিল যে, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সংবাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠে জেলা প্রশাসন। যা হোক এবার মৃতের সংখ্যা বাড়তে থাকল। এ সংখ্যা ১২০ গিয়ে থামে। কিন্তু এর বাইরেও মানুষ মারা গেছে তা বলা হয়ে থাকে। যার ভিত্তি না থাকলেও যুক্তি আছে। এ যুক্তি দিয়ে তর্ক হতে পারে কিন্তু শেষ হবে না।

এ তো গেল মৃতের সংখ্যা গণনার হিসাব। এ হিসাব করতে গিয়ে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ খবর এড়িয়ে গেছি। এড়িয়ে যাওয়া বললে ভুল হবে। আমরা মরা মৃত্যুর পিছনে দৌড়াতে গিয়ে একবারও ভাবিনি যে, রাঙামাটি সারা দেশের সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
তাছাড়া কয়েক দিনের জন্য বিদ্যুৎ সংযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়েছে। ইন্টারনেটের থ্রিজি সেবা বিপর্যস্ত হয়েছে।
কারণ পাহাড় ধসে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের শালবন, রাঙামাটি খাগড়াছড়ি সড়কের কিচিং, খামার পাড়া এলাকায় সড়ক পুরো বিলীন হয়ে গিয়েছিল। কোথাও সড়কের উপর মাটি পড়ে পাহাড় হয়েছে।

এতগুলোর ঘটনার মধ্যেও  প্রধান খবর ছিল পাহাড় ধসে মৃতের সংখ্যা শতাধিক।  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ নেই এসব পরে। বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করে ফুটেজ, স্ক্রিপ্ট, ছবি পাঠিয়েছিলাম আমরা।


জেলার যারা মিডিয়ায় কর্মরত ছিলাম তারা সবাই তাদের কথা না ভেবে সংবাদ প্রেরণকে মূখ্য হিসেবে নিয়েছিলেন। কারণ দেখা গেছে অনেকে ঘর বিলীন হওয়ার পথে। কিন্তু তারা তাদের কথা না বলে অন্য ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের কথা বলতে মাঠে ছিলেন।  না খেয়ে পরিবারের সদস্যদের কথা না ভেবে খবর প্রচারে এগিয়ে ছিলেন।
এতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষ দ্রুত সরকারী সহায়তা পেয়েছে। রাঙামাটির ভয়াবহ রূপ বিশ্ব দেখেছে। এ খবরে বিত্তবান মানুষ ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সহায়তার হাত বাড়ায়। এতে মানসিক শান্তি পায় মিডিয়ার সহকর্মীরা। এ জন্য জেলা প্রশাসন বার বার গণমাধ্যম সহকর্মীদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে। কারণ প্রশাসনকে মিডিয়া যেভাবে সহযোগীতা করেছে তা প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানেন। প্রশাসনের সাথে নিরলস কাজ করেছে মিডিয়া সহকর্মীরা।

কিন্তু বিনিময়ে গণমাধ্যম কর্মীরা কেউ সরকারি সহযোগীতা পায়নি। পাবারও তো কথা না।  কয়েক জন বাদে অধিকাংশ গণমাধ্যম কর্মী পায়নি অফিস থেকে তাদের প্রাপ্য বেতন ভাতা। এমনটি পায়নি ধন্যবাদটুকুও।
উল্টো ফুটেজ, ছবি,স্ক্রিপ্ট পাঠাতে দেরীর কৈফিয়ত দিতে হয়েছে।  যিনি কৈফিয়ত চান দেখা যায় তার জ্ঞান এসি রুমের গন্ডির মধ্যে। তার ভৌগলিক জ্ঞানের পরিধিও অত্যন্ত কম। মাঠে কাজ করার অভিজ্ঞতা নেই। আর তিনি কিনা এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগে হয়ে উঠেন নির্দেশদাতা। সময় বেঁধে দিয়ে কাজ আদায় এবং চাকরি নাই করার হুমকি দিয়ে রাখেন।
ঐ চাকরি ভয় দেখানো হুমকি দাতাদের মত মূর্খদের আমি বলি, মফস্বলের সাংবাদিকরা মাসের পর মাস বেতন ভাতা পায় না। ঘরের ভাত খেয়ে বনের মোষ তাড়ানোর মত কাজ করেন তারা।
বিভিন্ন সময়  মফস্বল সাংবাদিকরা হয়ে উঠেন এক এক জন সমাজ ও দেশের দর্পন। কিন্তু তা ভাবে না সরকার তথা মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের কর্তা ব্যাক্তিরা।
অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি পাহাড় ধসের সময় জেলায় দায়িত্বরত গণমাধ্যম কর্মীরা  সংবাদ, ছবি, ফুটেজ সংগ্রহ করে তা প্রেরণে সীমাহীন কষ্ট করেছে। কিন্তু তাদের এ কষ্টের মূল্যায়ন করেনি মিডিয়া কর্তৃপক্ষ।  যদিও আমার ক্ষেত্রে তা হয়নি।
কেন না আমার সাংবাদিকতা জীবনে সবচেয়ে বড় অংকের বেতন পেয়েছি সে পাহাড় ধসের জুন মাসে। কোন বিল করিনি। শুধু প্রচার হওয়া নিউজের উপর ভিত্তি করে সর্বোচ্চ বেতন গ্রহণ করেছি। বেতন জমা হওয়ার মোবাইলে ক্ষুদে বার্তা দেখে আমি নিজে অবাক হয়েছিলাম।
প্রশ্ন এ প্রসঙ্গ আনা হচ্ছে কেন? আনার কারণ হল  আজ মফস্বল সাংবাদিকতা হুমকির মূখে। শুধু আমি বাঁচলে হবে না। আমার প্রতিবেশী সহকর্মী বাঁচলে আমার বেচে থাকার স্বার্থকতা হবে। আমি বেতন পাব  সহকর্মী বেতন পাবে না তা  মেনে নিতে পারি না।
দিন বদলে গেছে কিন্তু মফস্বল সাংবাদিকদের ভাগ্যর কোন পরিবর্তন হয়নি। তারা সেই আগের মতই আছে।  বেতন ভাতা হীন তারা এখনও হাওয়া খেয়ে বাঁচে।
রাঙামাটিতে পাহাড় ধসের মত বড় ঘটনার একটি সংবাদ সংগ্রহ প্রেরণ করতে সর্বনি¤œ ৪শ টাকা খরচ আছে। কিন্তু এ খরচ দেবে কে?  দেয় না মিডিয়া কর্তৃপক্ষ। না দিলে এ মফস্বল সাংবাদিক বাঁচবে কিভাবে ? তিনি না বাঁচলে বাঁচবে না মফস্বল সাংবাদিকতা।  
যে সাংবাদিক তাদের মিডিয়া কর্তৃপক্ষ থেকে বেতন ভাতা পান তারা পেশা দারিত্ব বজায় রাখেন। যে পায় না সে  সাংবাদিকতার আড়ালে অবৈধভাবে অর্থ উপার্জনের চেষ্টা করে। চেষ্টায় সফল হলে নষ্ট হয় সাংবাদিকতা।

এ জন্য দায়ী সরকার। এজন্য দায়ী মালিক পক্ষ। কারণ সরকার এসব প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিচ্ছে। আর মালিক পক্ষ নিয়ম লংঘন করে সাংবাদিকদের সাথে প্রতারণা করছে। সরকার তা জেনেও না জানার ভান করছে।
এখনও ‘ঘরের ভাত খেয়ে বনের মোষ তাড়ানো’র মত  কাজ করে যাচ্ছেন মফস্বল সাংবাদিকতা। নিজের বেতনের কথা না ভেবে অন্য চাকুরিজীবী যারা বেতন পাচ্ছেন  তাদের সংবাদ প্রকাশ করে যাচ্ছেন এ মফস্বল সাংবাদিকরা।
মফস্বল সাংবাদিকতা ও সাংবদিকদের গুরুত্ব দিতে হবে। গুটি কয়েকজন বাদে মফস্বল সাংবাদিকদের চাওয়া পাওয়া বেশী নয়। তারা বেশী পাওয়ারও চেষ্টা করেন না।
এ মহান পেশা আজ হুমকির মূখে। সুবিধাবাদী সাংবাদিক গোষ্ঠীর নেতারা নিজের স্বার্থ উদ্ধার করতে গিয়ে ধংসের দিতে ঠেলে দিচ্ছে সাংবাদিকতাকে। দাবী তুলছে নবম ওয়েজ বোর্ড। এ দাবী বাস্তবায়ন হলে মফস্বল সাংবাদিকদের কোন উপকারে আসে না। উপকারে আসে ঢাকা শহরে থাকা গুটি কয়েক ব্যাক্তির।
এ সুবিধা দেশের পেশাদার সাংবাদিকরা যেন ভোগ করতে পারে। তা হলে মফস্বল সাংবাদিকতা নতুন করে আলোর মুখ দেখবে। সৌন্দর্য বাড়বে দেশের গণমাধ্যমের।



হিমেল চাকমা,
গণমাধ্যম কর্মী, ইনডিপেনডেন্ট টেলিভিশন লিমিটেড ও সাধারণ সম্পাদক, রাঙামাটি সাংবাদিক ইউনিয়ন।

মিডিয়া |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions