শুক্রবার | ১৯ এপ্রিল, ২০২৪
রাঙামাটি জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক

করোনার ক্রান্তিলগ্নে একজন হাজী মুছা মাতব্বর ও তার টীম

প্রকাশঃ ২৩ মে, ২০২০ ০২:২৫:৪১ | আপডেটঃ ১৬ এপ্রিল, ২০২৪ ০৪:১৫:১৯  |  ১৩১৬
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাস মহামারি আকারে ধারণ করেছে, সারা বিশ্বে চলছে কম বেশী লক ডাউন, বাসা থেকে বের হওয়া বন্ধ এতে কঠিন সময় পারছে দিনমজুর, রিক্স্রাচালক, সিএনজি চালক, হত দরিদ্র পরিবারগুলো। তাদের দৈনন্দিন কার্যক্রম বন্ধ থাকায় আয়ও নেই, প্রশাসন বা সরকার কখনো স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো থেকে পাওয়া ত্রাণই তাদের একমাত্র অবলম্বন।

মানুষের এই দুর্দিনে সবাই যখন ঘরে বসে এমনকি টাকা পয়সা ওয়ালা রাজনৈতিক নেতারাও যখন ঘর থেকে বের হচ্ছে না, তখন মানবতার হাত বাড়িয়ে দিয়ে বাবার নামে প্রতিষ্ঠিত মরহুম আব্দুল বারী মাতব্বর ফাউন্ডেশন নিয়ে জনগনের মাঝে হাজির হয়েছেন উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান, জেলা আওয়ামীলীগের  সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য হাজী মুছা মাতব্বর।

তার পাশে থেকে ছাত্রলীগ এবং যুবলীগের কিছু নেতা কর্মী দিবা রাত্রি পরিশ্রম করে শহরের আনাচে কানাচে চাল, ডাল, সবজি, ঈদ উপহার পৌছিয়ে দিচ্ছে।
করোনা ভাইরাসের সংক্রামণ রোধে দেশে গত ২৬ মার্চ থেকে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়, এতে রাঙামাটির নিম্ন আয়ের  মানুষও কর্মহীন হয়ে পড়ে। আর তাদের মধ্যে যেসব মানুষ দিনে এনে দিনে খায় তারা পড়েছেন সবচে বেশি বিপাকে পড়েছে। গত ৩১ মার্চ  মরহুম আব্দুল বারী মাতব্বর  ফাউন্ডেশনটি রাঙামাটি শহরের কর্মহীন মানুষকে চাল, ডালসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস, কখনো ওএমএস’র দশটাকা দামে চাল কেনার অর্থ উপহার দিলেও পরবর্তী সময়ে  এই ত্রাণ কাজে কিছুটা পরিবর্তন এসেছে। কোন তালিকা ছাড়াই শহরের গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলোতে এবং ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা বিভিন্ন সড়কে মিনিট্রাকে করে প্রতিদিন শত শত মানুষের হাতে তুলে দিচ্ছেন নানা প্রকারের সবজি। বর্তমানে তোলে দেয়া হচ্ছে ঈদ উপহার। শহরের মানিকছড়ি থেকে শুরু করে রিজাভ বাজার, তবলছড়ি, আসামবস্তী এবং পাহাড়ী কোনটাই বাদ যায়নি।

মরহুম আব্দুল বারী মাতব্বর ফাউন্ডেশন এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক হাজী মুছা মাতব্বর জানান, মানুষের কষ্ট দেখলে আমারও কষ্ট লাগে, আমি চেষ্টার করেছি আমার সাধ্যর মধ্যে জনগনের পাশে দাঁড়াতে। তিনি আরো জানান, গত আড়াই মাসে ফাউন্ডেশন ওএমএস‘র চাল কিনতে ৯শ পরিবারকে নগদ অর্থ সহায়তা, ৮ হাজার পরিবারকে চাল ডালসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস প্রদান, ১৪ হাজার পরিবারকে সবজি এবং এখন ২ হাজারেরও অধিক পরিবারকে ঈদ উপহার সেমাই, চিনি, বাদামসহ প্রয়োজনীয় জিনিস ব্যাক্তিগত অর্থে দেয়া হচ্ছে। এটি ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে।

তিনি আরো বলেন, বিত্তবানরা সবাই যদি মানুষের পাশে দাঁড়ায়, তাহলে সরকার, প্রশাসন, সামাজিক সংগঠন, রাজনৈতিক সংগঠন, বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সবাই মিলে আমরা করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করতে পারবে।


এদিকে মুছা মাতব্বরে সাথে নিংস্বার্থভাবে কাজ করছে যুবলীগ ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা কর্মী, করোনা ভাইরাসের শুরু থেকে বাজার থেকে সবজি ক্রয়, প্যাকেটজাত, ওএসএম এর চাল বিতরনের টাকা পৌছে দেয়া, চাল, ডাল প্যাকেট করা সবই তারা করছে। ইফতারের পর থেকে শুরু করে সেহেরী পর্যন্ত তারা দলবদ্ধভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরা হলো ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বাপ্পা, মরহুম আব্দুল বারী মাতব্বর এর নাতি  ও ছাত্রলীগ সদস্য মিশকাতুর রহমান, সাইফুল আলম রাশেদ,  নূর আলম, রুপন দাস, অপু শ্রীং লেপচা, সাইফুল ইসলাম, নজরুল ইসলাম, অমিত ঘোষ, গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, মোঃ মোবারক হোসেন, মোঃ শাকিল আরমান, যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, বাবুল দাস, নাজিম উদ্দিন পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, মোঃ মমিনুল ইসলাম, মোঃ তৌহিদ, মোঃ শওকত, মোহাম্মদ মনির,  জয়নাল আবেদীন রাজু, মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান মোঃ শওকত, মোঃ ইমন, মোহাম্মদ ইকবাল ড্রাইভার, মোঃ আবুল হোসেন ড্রাইভার, মোঃ বাচ্চু মিয়া।



ছাত্রলীগ নেতা সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বাপ্পা বলেন, বদ্দাকে ভালো লাগে, তাই উনার সাথে আমরা নিংস্বার্থভাবে জনগনের সেবা করছি। আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক হওয়ার আগ থেকেই মুছা ভাইয়ের পরিবার ছিল দানশীল। বর্তমানে করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জননেতা দীপংকর তালুকদারের নির্দেশে সম্পুর্ণ পারিবারিক অর্থায়নে তিনি মানবসেবা করে যাচ্ছেন।




সুলতান মাহমুদ চৌধুরী বাপ্পা আরো বলেন, এমনও ঘটনা আছে মুছা ভাই বাজার করতে গিয়েছিলেন, একজন এসে বলল বদ্দা বাজার করার টাকা নাই, কিছু টাকা দেন উনি বাজার না করে ঐ ব্যাক্তি টাকা দিয়েছেন বাজার করতে। এরকম কয়জন ব্যাক্তি আছে যারা নিজের বাজারের টাকা অন্যকে দেয়। উনি রাজনীতি করেন জনসেবা করতে অন্যদের পেছনে লাগতে নয়, উনি আমাদের মত ছাত্র ও যুব সমাজের আইকন।



যুবলীগ নেতা নাসির উদ্দিন বলেন, অনেক বছর অনেকের সাথে রাজনীতি করেছি, সবাই আমাদের ব্যবহার করে নিজের আখের গৌছিয়েছে, মুছা ভাই ভিন্ন,, তিনি দু:স্থ সময়ের নেতা কর্মীদের পাশে থেকে তাদের নানাভাবে সহায়তা করেছেন। শুধু নেতা কর্মী নয়, করোনা ভাইরাসে নিজের পকেটের টাকা দিয়ে হাজার হাজার দু:স্থ, গরীব, অসহায়, দিনমজুর মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।

নাসির উদ্দিন আরো জানান, দলে মতভেদের কারনে অনেকে আমাকে চাঁদাবাজ বানিয়েছে, কিন্তু এই দু:সময়ে মুছা ভাই আমার জন্য যা করেছেন, তার কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা আমার জানা নেই, তিনি আমাকে জনগনের পাশে থেকে তাদের সেবা করার সুযোগ করে দিয়েছেন।

মরহুম আব্দুল বারী মাতব্বর ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি হাজী শামীম আকতার পরিচালক এবং প্রধান পৃষ্ঠপোষক হাজী মুছা মাতব্বর।




এদিকে আওয়ামীলীগ সরকার টানা তিনবার ক্ষমতায় থাকার সুযোগে অনেকে কোটি কোটি টাকার ব্যাংক ব্যালেন্স বানিয়ে দলে গ্রুপিং সৃষ্টি করার পায়তারা করলেও জনগনের এই দু:সময়ে নিজের টাকা খরচ করে জনগনের পাশে দাঁড়াতে কাউকে দেখা যায়নি। অনেকে আবার সরকারি ত্রাণ নিজের বলে চালিয়ে রাজনৈতিক ও ভোটের ফায়দা নিচ্ছে।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions