শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়

রাঙামাটি ও বরকল উপজেলায় ত্রান সহায়তা পায়নি পাংখোয়া ও মারমা জনগোষ্ঠী

প্রকাশঃ ০৫ এপ্রিল, ২০২০ ১১:১৮:৩৫ | আপডেটঃ ২৮ মার্চ, ২০২৪ ০৯:১৩:৪৩  |  ২১৪৩
সিএইচটি টুডে ডট কম, জুরাছড়ি (রাঙামাটি)। করোনা ভাইরাসের  কারণে সৃষ্ট বির্পযয়ে রাঙামাটির পাংখোয়া ও মারমা জনগোষ্ঠী ভালো নেই। অঘোসিত লকডাউনে রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের পাংখুয়া পাড়ার ৩০ পরিবার ও বরকল উপজেলার সুবলং ইউনিয়নের মারমা পাড়ার ৫৮ পরিবার মানবেত জীবন যাপন করছে। সরকারি ও বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন এলাকায় ত্রানে তৎপরতা দেখা গেলেও  পৌছায়নি এখনো এসব প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর গ্রামে ত্রানে সহায়তা ও সচেতনতা মূলক লিফলেট।

রোববার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জুরাছড়ি উপজেলার পশ্চিমে বরকলের সুবলং ইউনিয়নের গুচ্ছ মারমা সম্প্রদায়ের গ্রাম। জুরাছড়ি থেকে দুরুত্ব ১৫ কিলো মিটার প্রায়। পাড়ার লোক-জন এক বাড়ী থেকে অন্য বাড়িতে যাওয়া আসা করছেনা। ঘরে ভিতরে লোকজনের কথাবার্তা শোনা গেলেও অধিকাংশ ঘরে দরজা বন্ধ।

গ্রামে প্রবীণ জচাই মারমা (৬০) সাথে কথা হয়। তিনি জানান, করোনা ভাইরাস বিষয়ে কেউ গ্রামে এসে দিক নিদের্শনা দেয়নি। আমার রেডিও খবরের মাধ্যমে যা শুনছি তাতে কিছু সচেতনতা হচ্ছি।  তবে গ্রামের অধিকাংশ মানুষ শ্রমজীবি। কাজ বন্ধ হয়ে পড়ার বিপাকে রয়েছে বলে তার দাবী।

মুটুসিং মার্মা (৩৫) বলেন, ৩ সন্তান তার। দিনমজুর করে চলে তাদের সংসার। কাজ বন্ধ হয়ে পড়ার আয় রোজগারও থেমে গেছে। ঘরে যা চাল ছিল আজ পর্যন্ত চলবে।

রাঙামাটি সদর উপজেলার বালুখালী ইউনিয়নের পাংখুয়া পাড়া সাবেক ওয়ার্ড সদস্য নিকুলাই পাংকুয়া জানান, সরকারি ভাবে চার দিকে ত্রান সহায়তা দেখা গেলেও এ পাড়াই এখনো কোন ত্রান সহায়তা দেওয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস এম মনজুরুল হক বলেন, করোনা ভাইরাসের  কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কারনে কর্মহীনদের সহায়তার জন্য প্রথম পর্যায়ের ২৩ মে: চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। ২য় পর্যায়ে ১০ মেঃটন বরাদ্দ পাওয়া গেছে। যা ইতিমধ্যে ২৩ মে.টন ইউনিয়ন পরিষদের মাধ্যমে ২ হাজার ৩শ পরিবারকে বিতরন করা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট বিপর্যয়কর পরিস্থিতির কারনে প্রকৃত কর্মহীন কেউ বাদ পরে তাকে তাহলে তাদের সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড সদস্য ও ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করার পরামশ্য দেন।  

সুবলং ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মধুমিলন চাকমা বলেন, সরকারি স্বল্প বরাদ্দে সবার মাঝে সহায়তা একসাথে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে বরাদ্দ প্রাপ্তি অনুযায়ী পর্যায় ক্রমে সবাইকে সহায়তা পৌছে দেওয়া হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বিধান চাকমা জানান, সরকারি বরাদ্দ এসেছে শুনেছি-তবে কি পরিমান বরাদ্দ এসেছে জানিনা। আমাকে কেউ অবগত করেনি।


এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions