শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪

দুই জেএসএস-এর সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছে ইউপিডিএফ

প্রকাশঃ ১১ নভেম্বর, ২০১৯ ০৫:৪৩:৩৩ | আপডেটঃ ২৬ মার্চ, ২০২৪ ০৮:৫০:০৭  |  ৪০৯০
সিএইচটি টুডে ডট কম, খাগড়াছড়ি। ইউনাইটেড পিপলস্ ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট(ইউপিডিএফ)-এর মুখপাত্র অংগ্য মারমা আজ সোমবার ১১ নভেম্বর ২০১৯ এক বিবৃতিতে গতকাল এম এন লারমার ৩৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আয়োজিত সভায় জনসংহতি সমিতির উভয় অংশের পৃথকভাবে দেয়া সংঘাত বন্ধের আহ্বানকে স্বাগত জানিয়েছেন।

ইউপিডিএফ ১৯৯৮ সাল থেকে ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত বন্ধের আহবান জানিয়ে আসছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘‘জনসংহতি সমিতির সহসভাপতি ও সাবেক সাংসদ ঊষাতন তালুকদার এবং জনসংহতি সমিতি(লারমা)-্এর সাধারণ সম্পাদক তাতিন্দ্র লাল চাকমার আহ্বান যদি আন্তরিক হয় তাহলে পার্বত্য চট্টগ্রামে অবশ্যই আন্তঃজুম্ম রক্তাক্ত রাজনৈতিক সংঘাতের অবসান হবে এবং ঐক্য ফিরে আসবে।’’

তিনি উভয় পার্টিকে কথা ও কাজের মধ্যে মিল রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘‘ইউপিডিএফ অতীতের সংঘাতের সকল তিক্ত অভিজ্ঞতার বোঝা পেছনে ঝেড়ে ফেলে মহান নেতা মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমার ‘ক্ষমা করা ভুলে যাওয়া’ নীতির ভিত্তিতে পার্বত্য চট্টগ্রামের ইতিহাসে ঐক্যের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে প্রস্তুত রয়েছে।’’

তিনি বলেন, “ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত জনগণের জন্য কোন মঙ্গল বয়ে আনেনি, বরং জাতীয় অস্তিত্ব রক্ষার আন্দোলনকে চরম হুমকির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এজন্য সাধারণ জনগণ মিছিল সমাবেশের মাধ্যমে আন্তরিকভাবে এই সংঘাত হানহানি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছে।”

অংগ্য মারমা আরো বলেন, কোন সুস্থ মস্তিষ্ক ও বিবেকবোধ সম্পন্ন মানুষ জাতীয় ও জনস্বার্থে হানিকর ভ্রাতৃঘাতি সংঘাত চাইতে পারে না এবং তাতে ইন্ধন, প্ররোচনা কিংবা উস্কানিও দিতে পারে না।

তিনি চূড়ান্ত বিচারে জনগণই আসল শক্তি এবং ইতিহাসের প্রকৃত নায়ক বলে উল্লেখ করেন এবং সংঘাতের বিরুদ্ধে ও ঐক্যের পক্ষে দৃঢ়ভাবে দাঁড়াতে সবার প্রতি আহবান জানান।

খাগড়াছড়ি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions