শুক্রবার | ২৯ মার্চ, ২০২৪
বৈসাবি উপলক্ষে ইউপিডিএফ-এর শুভেচ্ছা

জনগণকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান প্রসীত খীসার

প্রকাশঃ ১১ এপ্রিল, ২০১৯ ০৭:২৭:১৩ | আপডেটঃ ২৪ মার্চ, ২০২৪ ০৫:৫৭:১৪  |  ৮০৭৫
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। পার্বত্য চট্টগ্রামবাসীদের সবচে’ বৃহৎ সামাজিক ও ঐতিহ্যবাহী উৎসব বৈসাবি (বৈসুক-সাংগ্রাই-বিঝু-বিষু-সাংক্রান) উপলক্ষে আজ ১১ এপ্রিল ২০১৯, বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত এক বার্তায় ইউনাইটেড পিপল্স ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সভাপতি প্রসিত খীসা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশবাসীকে বৈসাবি ও নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

বার্তায় তিনি পাহাড়িদের মধ্যকার পথভ্রষ্ট অংশটিকে আত্মঘাতি পথ পরিহারপূর্বক সর্বনাশা খপ্পড় থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং নতুন বছরের আগমনে জাতীয় জীবনে শুভ সূচনা ঘটাতে সকলকে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানিয়েছেন।

ইউপিডিএফের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের নিরন চাকমা প্রেরিত এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ প্রধান প্রসীত খীসা এসব কথা বলেন।
এক কালের নৈসর্গপুরী পার্বত্য চট্টগ্রামে চৈত্রের শেষ লগ্নে উৎসবের যে ধুম পড়ে যেত, তার বিপরীতে বর্তমান সময়ে অনুভূত হচ্ছে ক্ষোভ, বিষাদ, চাপা আতঙ্ক মন্তব্য করে বিবৃতিতে প্রসীত খীসা আরো বলেন ‘পার্বত্য চট্টগ্রামসহ সারা দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক নয়। বাস্তবিক অর্থে পাহাড়ে আনন্দ উৎসবের কোন পরিবেশ নেই, মানুষের সে মন-মানসিকতাও নেই। তাই প্রকৃত চিত্রকে আড়াল করতে সরকারি প্রশাসনের  উদ্যোগে র‌্যালি-মেলা-কনসার্ট ইত্যাদির আয়োজন করা হয়। এ ধরনের কৃত্রিম উৎসবমুখর অনুষ্ঠান সরকারি উদ্যোগে ফলাও করে প্রচার করা হয়’।
প্রদত্ত বার্তায় ইউপিডিএফ নেতা শত দুঃখ-কষ্ট আর বৈরী পরিস্থিতিতেও বছরের বিশেষ দিনে সাধারণ মানুষের শান্তি ও স্বস্তি কামনা করেন। ষড়যন্ত্রমূলক মামলার কারণে কারাগারে অন্তরীণ, ঘরবাড়ি-এলাকাছাড়া নেতা-কর্মী-শুভাকাক্সক্ষীসহ পেশাজীবী ও শিক্ষার্থী যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বাইরে ও বিদেশে অবস্থান করছেন, উৎসব লগ্নে তিনি তাদেরও শুভেচ্ছা জানান।

সংবাদ মাধ্যমে প্রদত্ত বৈসাবি শুভেচ্ছা বার্তায় ইউপিডিএফ নেতা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ‘ভূমি জরিপ ও জেলা ও আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচন’ সুপারিশ বিষয়েও সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘জোর জবরদস্তি, গ্রেফতার, খুন-খারাবি, হাজার রকমের অনিয়ম ও ভোটের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরিয়ে ফেলার এক আজব নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার দেশে আক্ষরিক অর্থে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে ফেলেছে। এ সরকার ও আজ্ঞাবাহী নির্বাচন কমিশনের অধীনে গোটা নির্বাচন ব্যবস্থাটিই ভেঙ্গে পড়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নিকট একাদশ সংসদ নির্বাচন এখনও প্রশ্নবিদ্ধ। সাধারণ মানুষের নিকট এ অনিয়মের নির্বাচন স্পষ্ট। কাজেই একটি বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সরকার পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে পারে না। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচিত সরকারই এ ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে পারে।

এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions