রাঙামাটি জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত
প্রকাশঃ ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ ০১:২৭:২৭
| আপডেটঃ ১৮ এপ্রিল, ২০২৪ ০৯:৫৬:৩৪
|
৯১০
সিএইচটি টুডে ডট কম, রাঙামাটি। রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ এর মাসিক সভা সোমবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সভাকক্ষে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা। পরিষদের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা ছাদেক আহমদ এর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য এবং হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেছেন, সমন্বয়ের মাধ্যমে এ জেলার মানুষের ভাগ্য উন্নয়নে আমাদের সকলকে কাজ করতে হবে। আমরা সকলে ঐক্যবদ্ধ থাকলে পাহাড়ের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন ত্বরান্বিত হবে। তাই সকলকে ভাল ও সৎ মন নিয়ে জনসেবা করতে হবে। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা যে জেলারই হোক সরকার তাদের অন্য জেলায় বদলি করে জনকল্যাণের স্বার্থে সে জেলার উন্নয়নের স্বার্থে। তাই জনসেবার মন নিয়ে আমাদের সবাইকে জনগণের পাশে থেকে এ জেলা তথা দেশের উন্নয়ন করতে হবে।
সভায় সিভিল সার্জন ডাঃ শহীদ তালুকদার বলেন, চলতি বছরে জেলায় মহামারি আকারে বড় ধরনের কোন রোগ এখনো দেখা যায়নি। প্রায় দু’বছর যাবত জেলায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া রোগের প্রকোপ নেই। জেনারেল হাসপাতালে সকল স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা জানান, চলতি বোরো মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদের পানি ধীরে ধীরে কমায় চাষাবাদে সমস্যা হচ্ছে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারির বৃষ্টিপাতে আম-জাম-লিচুর মুকুলের পাশাপাশি ফসল ও শাক-সবজির ক্ষতি হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ খোরশেদ আলম বলেন, জেলার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিশুদের জন্য মাতৃভাষার পাঠ্যবই বিতরণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার বিভিন্ন উপজেলার বিদ্যালয়ের ৭০৮জন নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের জন্য পরিষদে তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।
জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা উত্তম খীসা বলেন, ৯ম শ্রেণীতে উত্তীর্ণদের মেধাক্রমের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের লক্ষে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-ছাত্রীদের পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে। উত্তীর্ণদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে এবং পরিষদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তীতে বৃত্তি প্রদান করা হবে। এছাড়া এসএসসি ও দাখিল পরীক্ষা সুষ্ঠ ও সুন্দরভাবে হচ্ছে।
জেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা ডাঃ বরুন কুমার দত্ত বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী কৃত্রিম প্রজনন, চিকিৎসা সেবা, টিকা প্রদান, প্রশিক্ষণ, উঠান বৈঠক কার্যক্রম করা হয়েছে। এছাড়া নিয়মিত গবাদি পশুকে চিকিৎসা প্রদান ও প্রোডাকশন কার্যক্রম যথারীতি চলছে।
যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ শহীদুল ইসলাম বলেন, আতœকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে বেকার যুবদের বর্তমানে যুব উন্নয়নে ৭টি ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে
হর্টিকালচার সেন্টার বালুখালী, বনরুপা, নানিয়ারচর ও কাপ্তাইয়ের উদ্দ্যানতত্ববিদরা জানান, নার্সারিতে টার্গেট অনুযায়ী হাড়িভাঙ্গা, আ¤্রপালি, লিচু, নারিকেল’সহ বিভিন্ন প্রজাতি গাছের চারাকলাম উৎপাদন, মজুদ ও বিক্রয় কার্যক্রম চলছে।
সভায় অন্যান্য হস্তান্তরিত বিভাগের কর্মকর্তাগণ তাদের বিভাগের স্ব স্ব কার্যক্রম উপস্থাপন করেন।