বুধবার | ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

এএসএম.শহীদুল্লাহ’র ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

প্রকাশঃ ১৩ অক্টোবর, ২০১৮ ০১:০৯:৪৬ | আপডেটঃ ২৪ এপ্রিল, ২০২৪ ১০:১৬:১১  |  ৯৩৫
সিএইচটি টুডে ডট কম ডেস্ক।  আজ ১৩ অক্টোবর রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের সাবেক নির্বাচিত সদস্য,ইসলামীক সেন্টার রাঙামাটির সাবেক চেয়ারম্যান, রাঙামাটি জেলার স্বনামধন্য ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মুজাদ্দেদ-ই-আলফেসানী উচ্চ বিদ্যালয়, আল-আমিন ফাজিল(ডিগ্রী) মাদরাসা সহ  রাঙামাটি জেলায় অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, এতিমখানা ও বিভিন্ন সামাজিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিক্ষাবি আলহাজ্ব এ.এস.এম.শহীদুল্লাহ’র ৪র্থ মৃত্যু বার্ষিকী।

চতুর্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবংএ.এস.এম. শহীদুল্লাহ ফাউন্ডেশন রাঙামাটির উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে। এরমধ্যে আজ সকালে কুলখানি, মসজিদে মসজিদে দোয়া অনুষ্ঠান ও শহরের বিভিন্ন এতিমখানায় এতিম ও গরীব-মিসকিনদের মধ্যে খাবার বিতরণ কর্মসূচী এবং বরকল, কাউখালী ও রাঙামাটি শহরে বিভিন্ন আলোচনাসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মরহুমের প্রতিষ্ঠিত স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুজাদ্দেদ-ই-আলফেসানী উচ্চ বিদ্যালয়ের মিলনায়তনে আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন পাটোয়ারী। বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক  মোঃজামাল উদ্দিন এর সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র শিক্ষক সর্বজনাব মাও. এনামুল হক, মীর মোঃরফিকুল ইসলাম, মাহবুব হোসেন, নাসের উদ্দিন, আব্দুল মঈন, আবুল কালাম ও আব্দুল্লাহ-আল-মামুন।

সভায় বক্তারা মরহুম এ.এস.এম.শহীদুল্লাহ’রবর্ণাঢ্য জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, তার মত নির্লোভ  ব্যক্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় না। সারাজীবন এই অঞ্চলের মাটি ও মানুষের অধিকার আদায়ের জন্যে আপোষহীন সংগ্রাম করে গেছেন। এই চরম সদালাপী মানুষটি একটি রাজনৈতিক মতাদর্শে বিশ্বাসী হয়েও সকল দল ও মতের মানুষের কাছে ছিলেন আস্থাভাজন ও প্রিয়। তিনি ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বের অধিকারী একজন গুণীমানুষ। ১৯৮৬ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জনগনের ভোটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হলেও তৎকালীন স্বৈরাচারী সরকার কর্তৃক তার বিজয়কে ছিনিয়ে নিলেও১৯৮৯ সালের রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের প্রথম ও একমাত্র নির্বাচনে বিপুল ভোটে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সে সময় তিনি দল-মত, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে সকল মানুষের উপকার করে গেছেন নিঃস্বার্থভাবে।
পরিশেষে ক্ষণ জন্মা এই ব্যক্তিত্বের রূহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া পরিচালনা করা হয় এবং কর্মসূচী সমূহের সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।

রাঙামাটি |  আরও খবর
এইমাত্র পাওয়া
আর্কাইভ
সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত, ২০১৭-২০১৮।    Design & developed by: Ribeng IT Solutions